উত্তরকাশী থেকে ছেলেরা ফিরলেই পছন্দের খাবার খাওয়াবেন পুরশুড়ার দুই মা

হুগলি: ছেলেদের মুক্তির জন্য কেউ ঘি পুড়িয়েছেন, কেউ বা আকাশে আতসবাজি ফাটিয়েছেন। মহিলারা শঙ্খধ্বনি করেছেন। কিন্তু ১৭ দিন ধরে নাওয়া খাওয়া ভুলে কেবলই চোখের জলে প্রার্থনা করে গেছেন মা। বর্তমানে চরম অসুস্থ জয়দেব পরামানিকের মা তপতি। ১৭ দিন ধরে কেবলই প্রার্থনা করেছেন উত্তর কাশীর টানেল থেকে ছেলের মুক্তির। ছেলে মুক্তি পেয়েছে।

সারা দেশজুড়ে উৎসাহের শেষ নেই। ফেসবুকের পাতায় পাতায় ভারতের তেরঙ্গা পতাকায় উড়ছে মুক্তির শপথ। তপতিদেবী প্রায় খাওয়া ছেড়েছেন। জয়দেবের বাবার একটি ছোট চা-চপের দোকান। তিনি জানিয়েছেন, ছেলে যেদিন বাড়ি ফিরবে সেদিন তার দোকানে যারাই যাবেন তাদের ভালোবেসে চা চপ খাওয়াবেন। তার সাধ অনেক, কিন্তু সাধ্য কম। তাই যেসব মানুষ তাঁর পাশে ছিলেন তাদের সকলকেই বিনা পয়সায় চা চপ খাওয়াবেন। ছেলের দুঃখে মা খাওয়া ছেড়েছেন। ছেলের বাড়ি ফিরতে এখনও দিন দশেক বাকি। ছেলে মুরগির মাংস খেতে ভালোবাসে। অসুস্থ স্ত্রী নিজেই মুরগির মাংস করে খাওয়াবেন।

অন্যদিকে সৌভিক পাখিরার বাড়িতেও এখনও ঘোর লাগা অবস্থা। ছেলে কী অবস্থায় ফিরবে সেই আতঙ্কেই ১৭ দিন গিয়েছে। মুক্তির খবরেও মায়ের হাহাকার কমেনি। দিন গুনছেন কবে কোলের সন্তান তার কাছে ফিরে আসবে। ছেলে ফ্রায়েড রাইস, চিকেন কষা, আর ইলিশ মাছ খেতে ভালোবাসে। মা এখন থেকেই ছেলের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মা বলছেন, সারা দেশের মানুষ আমার ছেলের মুক্তির জন্য দিন গুনেছেন। আজ খবর মিলেছে। কিন্তু যতক্ষণ না ছেলেকে কাছে পাচ্ছি ততক্ষণ বোধহয় শান্তি নেই। দুই মা এখন অপেক্ষায় নারী ছেঁড়া ধনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − two =