লোকসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গ সফরে কল্পতরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের পাশে রাজ্য সরকার। সোমবার বানারহাটের জনসভার মঞ্চ থেকে জলপাইগুড়ির ৬টি চা বাগান অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘জলপাইগুড়ির বন্ধ হয়ে যাওয়া ৬টি চা বাগান অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে জলপাইগুড়িতে রায়পুর, রিয়াবাড়ি, ধরনীপুর, সুরেন্দ্রনগর, রেডব্যাংক চা বাগান বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। তার ফলে সমস্যায় পড়েছেন চা বাগানের বহু শ্রমিক। তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে এই সিদ্ধান্ত বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন, বিরোধী দলশাসিত রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যসভার কক্ষ ত্যাগ করে ‘ইন্ডিয়া’ভুক্ত দলগুলির সাংসদেরা। ঠিক তার পরেই জলপাইগুড়ির সভা থেকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার জলপাইগুড়িতে সরকারি কর্মসূচি ছিল মমতার। বানারহাটের সেই কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন এক দেশ, এক কর হল, তখন ভেবেছিলাম ভাল হবে। এখন সব রাজ্য থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আর রাজ্যকে কিছু দিচ্ছে না।’ কেন্দ্রের শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা বাংলায় মিথ্যা বলছেন বলেও দাবি করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এসে বলছে, সব ওরা নাকি করে দিয়েছে। আরে, ঝুট বলে কাউয়া কাটে! একটু অপেক্ষা করো, কাক তোমাদেরও ঠোকরাবে।’ তাঁর কথায়, ‘ভোটের আগে অনেক দেব দেব বলবে, ভোট মিটে গেলে কিচ্ছু দেবে না।’
১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনায় রাজ্যের পাওনার কথা বলে মমতা বলেন, ‘ওরা সব আটকে রেখেছে। আমি বাংলার হক আদায়ে দিল্লি যাচ্ছি। ১২, ১৯, ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে থাকব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছি।’ তাঁর কথায়, ‘এই সরকার (বিজেপি) যদি থাকে তা হলে সব ছিনিয়ে নিয়ে চলে যাবে।’ তবে কবে প্রধানমন্ত্রী সময় দিয়েছেন সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মমতা। প্রসঙ্গত, ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক হওয়ার কথা।