আইন এনে স্কুলের সামনে হুক্কাবার বন্ধের উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য

কলকাতা: মেয়রের নির্দেশে  ও পুলিশি অভিযানে কার্যত রাতারাতি হুক্কাবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কলকাতায়। একইপথে হেঁটেছিল বিধাননগর পুরসভাও।

এরপরেই হুক্কাবার বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে, বেআইনিভাবে ব্যবসা বন্ধ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মালিকপক্ষ। সেই মামলায় ধাক্কা খায় রাজ্য।হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, নির্দিষ্ট আইন না এনে এভাবে হুক্কাবার বন্ধ করা যাবে না।

তবে এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে রাজ্য। বিশেষত স্কুলের সামনে গজিয়ে ওঠা হুক্কাবারে রাশ টানতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কম বয়েসি ছেলে-মেয়েরা এ ধরনের বারে গিয়ে হুক্কা টানছে। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে হুক্কা বার নিষিদ্ধ করতে আইন আনতে চলেছে রাজ‌্য সরকার।কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘নির্দিষ্ট আইন তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। তামাকজাত দ্রব‌্য নিয়ে যেমন আইন রয়েছে তেমনই হুক্কা নিয়েও নির্দিষ্ট আইন আনবে রাজ‌্য সরকার। তা না আনলে আগামী দিনে পাড়ার মোড়ে মোড়ে হুকা বার গজিয়ে উঠবে।’

নতুন প্রজন্মের সুস্থতার জন‌্য হুকা বার বন্ধ করা উচিত। আগেও বলেছিলেন মেয়র। তবে এ নিয়ে নির্দিষ্ট আইন না থাকায় হাই কোর্টে মামলা দায়ের হলেও, হুক্কাবার বন্ধের নির্দেশ দেননি বিচারপতি। মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়েছেন, যে হেতু এনিয়ে রাজ্যের কোনও আইন নেই, তাই মহানগর এবং উপনগরী এলাকায় হুক্কা বার চলতে পারে। এর পরও যদি হুক্কা বার বন্ধ করতে হয়, তবে রাজ্য বা পুরসভাকে নতুন আইন প্রণয়ন করে তা বন্ধ করতে হবে। এর পরেই পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, হুক্কা বার নিয়ে দ্রুত আইন আনবে রাজ‌্য সরকার।

চিকিৎসকরা বলছেন, অন‌্যান‌্য তামাকাজাত দ্রব্যের চেয়েও হুক্কার ক্ষতি বেশি। ন‌্যাশনাল মেডিক‌্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা. উৎসব দাস জানিয়েছেন, ফুসফুসের অসুখ তো বটেই হুক্কা থেকে হতে পারে মুখের ক‌্যানসারও।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × three =