ঢোলাহাটের যুবকের মৃত্যুতে ফের প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

একের পর এক ঘটনায় এই রাজ্যে মুখ পুড়ছে পুলিশ প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোলাহাটের যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সামনে এল এক বিস্ফোরক তথ্য। আর এই ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে ফের উঠল প্রশ্ন। কারণ, এদিন আদালেত ঢোলাহাটের মৃত যুবকের পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, জামিন নিশ্চিত করতে পুলিশকে দিতে হয়েছে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। একইসঙ্গে মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছিল ওই যুবককে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন ঢোলাহাটের ঘাটমুকুলতলা এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে। গত ৩ জুলাই রাত ৮ টা ৫ মিনিটে মৃত যুবকের কাকা মহসিন হালদার থানায় সোনার গয়না এবং নগদ টাকা চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরের দিন অর্থাৎ গত ৪ জুলাই ভোর ৩ টে ৪৫ মিনিটে হেফাজতে নেওয়া হয় তাঁকে। রাজ্য পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানায়, কিন্তু বিচারক জামিন দেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে মথুরাপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকরা সাড়া না দেওয়ায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কসার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালে। গত সোমবার রাতে মৃত্যু হয় যুবকের। এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে রাজ্য়ের তরফ থেকে দাবি করা হয় যে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে যে মৃতের জন্ডিস ছিল। যে কারণে তাঁর ইউরিয়া এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। অভিযোগকারী কাকাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছে রাজ্য। শুনানির পর ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো রেকর্ডিং সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে যে, গত ২৩ জুন থেকে থানার সিসিটিভি বিকল রয়েছে। এই বিষয়ে কাকদ্বীপ আদালতের বিচারককে এবং ওয়েবেল-কে জানানো হয়েছে। যে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − six =