নতুন করে চিন্তা বাড়চ্ছে করোনা। করোনার নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন১-এ বাড়বাড়ন্ত। ফলে নতুন বছরের শুরুতেই কপালে ভাঁজ ফেলছে নয়া চিন্তা করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন-১। এদিকে দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, শনি থেকে রবিবার এই ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৬৩৬ জন। ভারতের সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৩৯৪। রবি থেকে সোমের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনার নতুন সাব ভ্য়ারিয়েন্টে জে এন ওয়ানের আবিভার্বের পরেই দেশে ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।
এদিকে রাজ্য়েও করোনার হদিশ মিলেছে। বেলেঘাটা আইডিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি কয়েকজন। ২০টি রাজ্যে ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলেও সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর। এদিকে শীতের মরশুমে গত কয়েক সপ্তাহে করোনার সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বিভিন্ন রাজ্যে ধারাবাহিক ভাবে বেড়েছে সংক্রমণ। কেরালা ও কর্নাটক শীর্ষে রয়েছে। খুব একটা পিছিয়ে নেই গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুও। কেরালায় প্রথম করোনার উপ প্রজাতি জেএন১-এর হদিশ মেলে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম জেএন১-এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এরপর ইউরোপের দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে করোনার এই নতুন উপরূপ। চিনের হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীর ভিড় বাড়তে শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা যা জানাচ্ছেন তাতে করোনার এই নতুন রূপ আগের মতো মতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে না। তবে চারদিকে যে হারে সংক্রমণ বেড়েছে তাতে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
অন্য়দিকে, বিশেষজ্ঞদের দাবি করোনার এই উপপ্রজাতির ধাক্কায় বিশ্বজুড়ে হৃদরোদগের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। স্ট্রোকও হতে পারে। এমনই দাবি করা হয়েছে নতুন জাপানি গবেষণায়। নয়া রিপোর্ট পেশ করে সতর্কতা জারি করেছে জাপানের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা সংস্থা রিকেন। সূত্রের খবর, দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনই মাস্ক পরা বা কোভিড বিধিনিষেধ জারি করা হবে না। সাধারণ মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মাস্ক পরার। সূত্রের খবর, দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনই মাস্ক পরা বা কোভিড বিধিনিষেধ জারি করা হবে না। সাধারণ মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মাস্ক পরার। কেন্দ্রের তরফে সতর্ক করা হয়েছে সব রাজ্যকে। করোনা পরিস্থিতির দিকে সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ থেকেই এদেশে অনেকটা দাপট কমে গিয়েছিল করোনার। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও অনেকটা থিতু হয়েছে করোনা আতঙ্ক। বহু দেশেই শিথিল করে দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মাস্ক পরার মতো নিয়মও এদেশে শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। করোনাকে হারিয়ে সকলেই এখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছেন। তবে ২০২৩-এর শেষের দিক থেকেই আবার চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া উপপ্রজাতি।