বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। হাতে মাত্র আর কয়েকটা মাস। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া শাসক দল বিজেপি। এবার ভোটের টার্গেটও বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারই তিনি দলীয় কর্মীদের জানান, ২০১৯ সালের থেকেও বড় জয় নিশ্চিত করতে হবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে বলেই জানান প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিজেপির দু’দিনের পদাধিকারীদের বৈঠকের সূচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই তিনি প্রতিটি রাজ্যে যাওয়া শুরু করবেন। তা রাজনৈতিক বা সরকারি কর্মসূচি হতে পারে। কিন্তু আপনারা প্রস্তুতি শুরু করে দিন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পায়, তবে বিজেপির জয় আরও নিশ্চিত হবে। জয়ের উপায়ও বাতলে দেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। তিনি জানান, আম জনতার মাঝে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির প্রচার করতে হবে। চারটি দিকে প্রচারে বিশেষ জোর দিয়েছেন তিনি। এগুলি হল- মহিলাদের জন্য সরকারের কাজ, কৃষকদের আর্থিক উন্নয়নে সরকারের প্রকল্প, যুব সমাজের কর্মসংস্থানে সরকারের পদক্ষেপ এবং দারিদ্র দূরীকরণে সরকারের পদক্ষেপ। বাকি সরকারের থেকে বিজেপির পরিচিতি আলাদাভাবে তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতপাতের রাজনীতি নয়, দারিদ্রকে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জাতি হিসেবে প্রচার করতে হবে। বিরোধীদের নেতিবাচক প্রচারের ফাঁদে পা দিয়ে উন্নয়নের প্রচারের অভিমুখ থেকে সরলে চলবে না, এ কথাও মনে করিয়ে দেন নমো।
ইন্ডিয়া জোটকে বিঁধে মোদি বলেন, ‘দেশের দুর্নীতিগ্রস্থ দলগুলি জোট বাঁধার চেষ্ঠা করছে। এঁরা পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস করে।’ বাংলা, বিহার ও উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে গতবারের তুলনায় বেশি আসন পেতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান বলে সূত্রের খবর।
মোদির বক্তব্য, নিচুতলার কর্মীরাই দলের সম্পদ। তাঁদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। কীভাবে তাঁরা মানুষের কাছে যাবেন বা কি বলবেন সময়মতো নির্দেশ পৌঁছে যাবে। তাঁদেরকে গুরুত্ব দিয়ে নেতৃত্বকে কাজ করার নির্দেশ দেন মোদি বলে সূত্রের খবর। দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্যে দলের সাংগাঠনিক দুর্বলতা রয়েছে তা যে মোদির অজানা নয় তাও জানান তিনি। এইসব রাজ্যে প্রচারে কোনও খামতি রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দেন।