সুবীর মুখোপাধ্যায়
রাজ্যের ৬টি জেলার গ্রামীণ এলাকায় ধোঁয়া বিহীন সবুজ চুলা বিলি করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। বায়ুদূষণ কমাতে জীবনের গুণমান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এবং গ্রামীন মহিলাদের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী বিধি থেকে এটি ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে।
কমিশনের ছাড়পত্র পেয়েই পর্ষদ ৬টি জেলার গ্রামীন এলাকায় ধোঁয়াবিহীন চুলা বা সবুজ স্টোভ বিলি করতে উদ্যোগী হয়েছে পর্ষদ। যে সমস্ত জেলায় এই স্টোভ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হযেছে , সেগুলি হল বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ,ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকায়।
পর্ষদ কর্তারা আশা প্রকাশ করছেন, এই সমস্ত এলাকায় এই ধোঁয়াবিহীন স্টোভ নিয়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যান রুদ্র জনিয়েছেন, এনার্জি আয়ান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট পর্ষদকে তাদেরকে কার্বন ট্রেডিং করার পরামর্শ দিয়েছে । বোর্ড কর্তাদের হিসাব বলছে, এই কার্বন ট্রেডিং করে দূষণ নিযন্ত্রণ পর্ষদ আগামি ৭ থেকে ৮ বছরে আনুমানিক ৪ হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারবে ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধোঁয়া বিহীন চুলা প্রকল্প কার্যকরী হলে স্টোভে কম ধোঁয়া, বেশী আগুন হবে। বর্তমানে রাজের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে প্রায় ১,১ কোটি গৃহিনী কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে রান্না করে থাকেন। আর এদের জন্য ধোঁয়াবিহীন চুলা সরবরাহ করতে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। একটি আকাদেমি প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা কঠিন জ্বালানি বন্ধ করতে সাহায্য করবে এবং পাইলট প্রজেক্ট সফল করতে এরা পর্ষদকে সমস্ত রকমের সহযোগীতা করবে বলে জানা গেছে। তবে এই সমস্ত গৃহস্থদের এলপিজি ব্যবহারে নিয়ে আসা খুব কঠিন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাধারন চুলা থেকে এই ধোয়া ধোঁয়াবিহীন চুলা ৭২ থেকে ৯০ শতাংশ তাপ উৎপাদন করতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে কার্বন নির্গমন ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ কমাতে পারবে বলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কর্তারা আশাপ্রকাশ করেছেন।