জুতো খুলতে বলায় এক্সরে রুমের কর্মীকে মারের অভিযোগ রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: এক্সরে করতে আসার আগে জুতো খুলে ঢুকতে বলায় রোগীর পরিবারের ১০/১২ জন উন্মত্ত সদস্যদের হাতে আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগ লাগোয়া ডিজিটাল এক্সরে রুমের এক কর্মীকে মার খেতে হয় বলে অভিযোগ। প্রহৃত ওই কর্মীর নাম কিষাণ শর্মা। ঘটনার পর জেলা হাসপাতালে এমারজেন্সি বিভাগে ওই কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। এই ঘটনার জেরে গোটা হাসপাতালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে জেলা হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প থেকে কর্মীরা আসেন। পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জেলা হাসপাতালে এসে পৌঁছয়। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হামলাকারীদের অনেকেই হাসপাতাল ছেড়ে পালান বলে দাবি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের বাবুয়াতলাওয়ের বাসিন্দা আমনা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জেলা হাসপাতালে আসেন। বছর ৬০ -এর আমনা খাতুনের হাত ভেঙে যাওয়ায় এমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক এক্সরে করানোর কথা বলেন। সেই সময় এক্সরে রুমে ডিউটিতে ছিলেন কিষাণ শর্মা এক কর্মী। তিনি এক্সরে রুমের নিয়মমতো রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জুতো খুলে আসতে বলেন। কিন্তু তাঁরা জুতো না খুলে জোর করে এক্সরে রুমে ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন ওই কর্মী তাঁদেরকে ঢুকতে বাধা দেন বলে দাবি। এরপরই রোগীর পরিবারের সদস্য ১০/১২ জন মহিলা ও পুরুষ ওই কর্মীর ওপরে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। ঘটনা দেখে অন্য কর্মীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে হাসপাতালের অন্য কর্মীরা আসেন। এই ঘটনায় হাসপাতালের কর্মীরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। বিশেষ করে রাতে যেসব কর্মীরা কাজ করেন তাঁরা।
এই প্রসঙ্গে জেলা হাসপাতালের সুপার ডা. নিখিল চন্দ্র দাস দাবি করেন, এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই কাঙ্খিত নয়। কর্মীরা তো সাধারণ মানুষদেরকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য আছেন। কিন্তু যে নিয়ম আছে তা তো মানতে হবে। এক্সরে রুম একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যেখানে যে কেউ জুতো পড়ে ঢুকতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘প্রহৃত ওই কর্মী আমাকে সব ঘটনার কথা লিখিত ভাবে বলেছেন। আমি তা আসানসোল দক্ষিণ থানায় জানিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’ পুলিশ জানায়, হাসপাতালের তরফে একটা অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × four =