কলকাতা: সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছে ধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না। এমনকী ধর্ষিতার মৃত্যু হলেও তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশ পাবে না। এ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে কোনও মেডিক্যাল বা ফরেনসিক পরীক্ষার সময়ও নির্যাতিতার নাম লেখা যাবে না। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলিকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগেই পকসো আইন অমান্য করে বিজেপির নেতা হাঁসখালি নির্যাতিত নাবালিকার নাম প্রকাশ করে দেন বলে অভিযোগ। অনুমান করা হচ্ছে তারû জেরেই নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে এখন থেকে নির্যাতিতার নাম তার শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টে উল্লেখ করা যাবে না এমনকি ফরেনসিক রিপোর্টে থাকবে না সেই নাম। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছে পকসো আইন অনুযায়ী কোনওভাবেই নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করা যাবে না। এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ মানতে হবে বলেই জানানো হয়েছে।
নদিয়ার হাঁসখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে। এ নিয়ে রাজ্যের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধী দল। সত্য অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গঠন করে বিজেপি। দলটি হাঁসখালি গিয়েছিল। আর সেখানেই ভুলবশত প্রতিনিধিদলের একজন প্রকাশ করে ফেলেন নির্যাতিতার নাম। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এরপরে শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ তাঁকে শো-কজ করা হয়। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে কারণে এমন কড়াকড়ি বলে মনে করা হচ্ছে।