নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: কাঁকসার রেলপাড়ে ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ক্রমশই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকেই গোটা এলাকা জুড়ে রয়েছে থমথমে পরিবেশ। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলের পাশেই রাস্তার ধারে স্থানীয়রা দু’ জোড়া ব্যবহৃত হ্যান্ড গ্লাপস দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কাঁকসার রেলপাড়ে সারদাপল্লি এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যার মধ্যে রয়েছে ওই বাড়ির মেয়ে সিমরন বিশ্বকর্মা, তাঁর দিদিমা ও তাঁর আত্মীয় এক ভাই। জানা গিয়েছে, সিমরনের মা ও বাবা বড় মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ৩জনেই ছিলেন। একই বাড়ির বাউন্ডারির মধ্যে পাশেই থাকেন তাঁর কাকা-কাকিমা।
সিমরনের কাকিমা রিঙ্কি বিশ্বকর্মার দাবি, প্রায় ৩ বছর ধরে সিমরনের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কোনও কথা নেই। তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ হেলমেট পরে এক যুবক বাড়ির ভিতর ঢোকেন। সিমরন তাঁর হাত ধরে ঘরের ভিতরে নিয়ে যান। তারপরে তিনি আর কিছু দেখেননি। তবে বেলাবাড়ার পরে তিনি মৃতদেহ দেখতে পান। একই সঙ্গে প্রতিবেশীদের চিৎকার শুনে তিনি বাড়ির বাইরে বের হন।
শ্বাসরোধ করেই ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন তদন্তকারী দলের আধিকারিকরা। শনিবার সকাল থেকেই গোটা এলাকা জুড়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এলাকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের ও বেশ কিছু বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। শনিবার কাঁকসা থানায় মৃত সিমরনের মাকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
সিমরনের মা থানা থেকে বেরিয়ে জানান, তাঁর মেয়ের প্রায় ৩বছর আগে বিয়ে হয়। কিন্তু বর্তমানে সেই বিয়ে ভেঙে ডিভোর্সের কেস চলছে কোর্টে। তাঁর মেয়ের সঙ্গে অমন তেওয়ারি নামের ওই এলাকার এক যুবকের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল।অমন এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে সিমরনের মায়ের অনুমান। কাঁকসা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিমরনের প্রেমিক অমন তেওয়ারিকে কাঁকসা থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।