গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ইউএসজি রিপোর্ট বিভ্রাটের কারণে প্রসূতির চিকিৎসায় চিকিৎসকদের নজিরবিহীন বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ,ইউএসজি রিপোর্টের ভিত্তিতে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের দুই চিকিৎসক প্রসূতির পেটের বাচ্চাকে মৃত ঘোষণা করার পরেও সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিয়েছেন প্রসূতি। ঘটনায় কর্তব্যরত দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি এবং রোগী এবং রোগীর পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে পেটে ব্যথা নিয়ে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের গুড়মা গ্রামের অদিতি মান্না (বাড়ি) নামে এক মহিলা। পরিবারের অভিযোগ, সকালে ভর্তি করার পর ডাক্তারবাবুরা প্রসূতিকে দেখে বলেন, ‘বাচ্চা পেটে নড়াচড়া করছে না ইউএসজি করতে হবে’। সেই মতো ইউএসজিও করা হয়।পরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা জানান বাচ্চা মারা গিয়েছে। অ্যাবোরশন করতে হবে। অভিযোগ,পরে প্রসূতি বার বার পেটে বাচ্চা নড়ছে বললেও বিশ্বাস করেননি চিকিৎসকরা। শেষে বিকালে চিকিৎসকদের অবহেলার মধ্যেই সুস্থ স্বাভাবিক সন্তানের জন্ম দেন অদিতি মান্না নামে ওই প্রসূতি। ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসকদের ব্যবহার এবং ভুল ইউএসজি রিপোর্ট নিয়ে সরব প্রসূতির পরিবারের লোকজন।
ইতিমধ্যে তাঁরা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন জায়গায় ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন।তবে এবিষয়ে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়ালের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। তবে মৌখিক ভাবে দাবি করেন, ইউএসজি রিপোর্ট এর ভিত্তিতে চিকিৎসকরা কখনো মায়ের পেটে বাচ্চা মারা গিয়েছে বলেননি। বলেছেন বাচ্চা নড়াচড়া করছে না।