নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: পুকুর ভরাট করে রাতারাতি জমি সমান করার অভিযোগ। অভিযোগ পেতেই ঘটনাস্থলে ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা আসেন। অবিলম্বে ফের পুকুর খোঁড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছিল পুকুর। হয়ে গেল সমান জমি। বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের বাগরোল গ্রামের এমন রাতারাতি ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষ। পুকুর মালিকদের একাংশের অভিযোগ পেতেই অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে ভূমি সংস্কার দপ্তর। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে দ্রুত ওই এলাকায় পুনরায় পুকুর খননের নির্দেশ দিয়েছে ভূমি সংস্কার দপ্তর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের বাগরোল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি পুকুর ছিল। নথিপত্র অনুযায়ী ওই পুকুরের জমির পরিমাণ ৩ একর ২০ শতক। বড়সড় আকারের এই পুকুর শুধু এলাকার মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্য ছিল তাই নয,û এই পুকুরের জল ব্যবহার করা হত এলাকার বিস্তীর্ণ কৃষিজমিতে সেচের কাজেও। বেশ কিছু বছর আগে পুকুরের বড় অংশ বিক্রি হয়ে যায় বলে দাবি। সামান্য বাকি অংশ থেকে যায় আগের মালিকের হাতেই।
অভিযোগ, সম্প্রতি স্থানীয়রা দেখেন বাইরে থেকে মাটি এনে রাতারাতি ভরাট করে পুকুরের জমি সমান করে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুকুরের ওই সামান্য অংশের মালিক নিতাই চন্দ্র রায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ, পুকুরের একটা বড় অংশ কিনে মুজিবর রহমান খান নামের এক ব্যক্তি তা ভরাট করে দিয়েছেন। একই অভিযোগে সরব হয় বাগরোল গ্রামের মানুষও।
অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসে ভূমি সংস্কার দপ্তর। ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে দেখেন ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা। ভূমি সংস্কার দপ্তরের দাবি, দ্রুত ওই এলাকায় পুকুর খননের জন্য অভিযুক্তকে নির্দেশ দেওয়া হবে। অভিযুক্ত পুকুর মালিকের দাবি, তিনি পুকুর ভরাট করেননি। নথিপত্রে জায়গাটি পুকুর বলে উল্লেখ থাকলেও তিনি যখন এই জায়গাটি কেনেন সেখানে পুকুরের অস্তিত্ব ছিল না। তাঁর পালটা অভিযোগ, পুকুরের অপর মালিকের অন্যায় ভাবে দাবি করা টাকা না দেওয়াতেই এখন মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এলাকার মানুষ চাইছেন দুই মালিকের মধ্যে অভিযোগ পালটা অভিযোগ নয়, অবিলম্বে তাঁদের ব্যাবহার্য পুকুর ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক।