রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনীহার কারণেই তদন্ত প্রক্রিয়া ঢিলেমি হচ্ছে দাবি প্রতিবাদী নিহত শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের দিদি প্রমিলা বিশ্বাসের। রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আড়াল করবার জন্য বরুণ বিশ্বাস খুনের মামলায় বরুণের বাবা জগদীশ বিশ্বাসের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে দেরি করা হচ্ছে পাশাপাশি বরুণের দিদি প্রমিলা রায় বিশ্বাসের নাম সিআইডির সাক্ষী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানিয়ে আদালতে আবেদন করেন প্রমিলা রায় বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার বরুণ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় সাক্ষী গ্রহণের কথা থাকলেও সাক্ষীরা উপস্থিত না থাকায় এই মামলার কোনও শুনানি হল না এদিন। বরুণের পরিবারের দাবি, বরুণ বিশ্বাসের বাবা জগদীশ বিশ্বাসকে কোনও সমন পাঠানো হয়নি।
পাশাপাশি বরুণের দিদি অভিযোগ করেন তার বাবা জগদীশ বিশ্বাসের বয়স হচ্ছে সরকারি আইনজীবী এবং অভিযুক্তির পক্ষের আইনজীবীরা মিলে চক্রান্ত করে এই মামলাকে দীর্ঘায়িত করছে। পাশাপাশি বরুণের পরিবারের পক্ষ থেকে বরুণ খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত দাবি জানানো হচ্ছে। বরুণের পরিবারের আইনজীবী দীপাঞ্জন দত্ত বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সরকারি উকিল পরিবর্তন করা হচ্ছে অন্যদিকে সাক্ষী হিসেবে বরুণ বিশ্বাসের বাবাকে ডাকাই হচ্ছে না ফলে তদন্ত বিঘ্নিত হচ্ছে। অন্যদিকে জগদীশ বিশ্বাসের বয়স হয়েছে তাই সরকার চাইছে কোনও একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাক তাহলে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ লোপাট হবে।
আমরা আদালতের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তির জন্য। দাবি, বরুণ বিশ্বাসের বাবার বয়ান রেকর্ড করা হোক পাশাপাশি প্রমিলা বিশ্বাসের অনুরোধে তার দিদিকেও এই মামলার সাক্ষী হিসেবে যুক্ত করা হোক। আমাদের রাজ্য পুলিশের সিআইডির ওপরে আস্থা নেই আমরা চাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করুক। সরকারি আইনজীবী শ্যামলকান্তি দত্ত বলেন, বেশকিছু নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে তবে সমস্ত নথি না আসার কারণে সাক্ষী পক্ষকে ডাকা হয়নি। এদিন প্রমিলা রায় বিশ্বাস আরও বলেন, আমার ভাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে আর আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আমার ভাইকে খুনের পেছনে মূল মাথা জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক। আমরা আদালতের কাছে আবেদন জানাচ্ছি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামটা এফআইআরে ঢোকানো হোক। আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। বরুণ বিশ্বাসের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সাক্ষীর শুনানি রয়েছে আগামী মার্চ মাসের ৭ তারিখ বনগাঁ ফাস্ট ট্র্যাক ১ এর এজলাসে।