শিক্ষক পরিবারের হাত-পা বেঁধে লুঠ চালাল দুষ্কৃতীর দল, খোয়া গেল কয়েক লক্ষ টাকার গয়না-সহ নগদ

শিক্ষক দম্পতি ও তার ছেলেমেয়েদের হাত-পা বেঁধে ভয়াবহ লুঠপাট চালাল সশস্ত্র ডাকার দল। বুধবার মধ্যরাতের এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে বৈষ্ণবনগর থানার সাহাবানচক গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব বেদরাবাদ এলাকায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কর্ণধার তথা প্রধান শিক্ষক মহম্মদ উজির হোসেনের বাড়িতেই ১০ থেকে ১৫ জনের সশস্ত্র দুষ্কৃতীর দল ডাকাতি করে বলে অভিযোগ। লুঠ করা হয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ভরি সোনার অলঙ্কার এবং নগদ প্রায় এক লক্ষ টাকা। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার কাকভোরেই ওই শিক্ষকের বাড়িতে তদন্তে পৌঁছয় বৈষ্ণবনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় এরকম ডাকাতির ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। এদিন পুলিশের সামনেই অবিলম্বে ডাকাত দলটিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সোচ্চার হন গ্রামবাসীরা।

এদিকে চাঁচলে সোনার দোকানে ডাকাতির রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মালদার বৈষ্ণবনগর এলাকায় শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনাতেই তোলপাড় মালদা। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশকে অভিযোগে শিক্ষক মহম্মদ উজির হোসেন বলেন, মধ্যরাতে দুষ্কৃতীর দলটি বাড়ির একটি ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর আমাকে আমার স্ত্রীকে এবং দুই ছেলে মেয়েকে ওরা খাটের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে রাখে। রাত দুটো থেকে প্রায় তিনটে পর্যন্ত বাড়ির বিভিন্ন ঘরে লুঠপাট চালায়। আলমারি ভাঙচুর করে, ওদের প্রত্যেকের হাতে টর্চ এবং বন্দুক ছিল। মুখ ছিল কাপড় ও মাফলারে ঢাকা। বাংলা, হিন্দি ভাষা মিশিয়ে কথা বলছিল। গয়না সহ নগদ এক লক্ষ টাকাও লুঠ করেছে ডাকাত দলটি। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের মুখ বাঁধা থাকায় অন্ধকারের মধ্যে ঠিকমতো চিনতে পারেননি ওই শিক্ষক ও তার পরিবার। তবে পুরো ঘটনাটি নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আশেপাশের দুষ্কৃতীরা এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। গোটা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ইতিমধ্যে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 8 =