ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার দ্বাদশের ছাত্রীর, টেস্টে অনুত্তীর্ণ হয়েই কি আত্মহত্যা!

অভাবের পরিবার। বাবা নেই। মা কাজ করে কোনওরকমে মেয়েকে পড়াচ্ছেন। উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে উত্তীর্ণ হতে না পারায় আত্মহত্যা করলেন দ্বাদশের ছাত্রী স্নেহা মুণ্ডা। প্রাথমিকভাবেই সেটাই অনুমান পরিবার থেকে পুলিশের।
গড়িয়া এলাকায় ঘর থেকে উদ্ধার হয় বছর সতেরোর ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। পরিবার সূত্রে খবর, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। স্নেহার বাবা মারা গিয়েছেন অনেক আগে। দ্বাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়া এবং তার বোন থাকত বাড়িতে। মা কাজের সূত্রে বাইরেই থাকেন বেশির ভাগ সময়। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ওই ছাত্রীর টেস্ট পরীক্ষার ফল বের হয়। মাকে ফোন করে স্নেহা জানায় সে পাশ করেছে। তখন মা তাকে ফলাফলের একটি ছবি তুলে তাঁকে পাঠাতে বলেছিলেন। তার পরেই এই কাণ্ড। পরিবারের দাবি, টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে লজ্জায় আত্মঘাতী হয়েছে স্নেহা।
মৃতার মেসো প্রলয় মিশ্র বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যে বসতে পারবে না সেটা আমরা জানতে পারিনি আগে। মা ছাড়া মেয়েটির আর কেউ নেই। মা অন্যত্র থাকে কাজের সূত্রে। ও ফোন করে মাকে বলেছিল, পাশ করে গিয়েছে পরীক্ষায়। তার পরই আজ এই অবস্থা।’ ছাত্রীর পরিবার জানাচ্ছে, বেশ অভাবের সংসার স্নেহাদের। ফাইনাল পরীক্ষার ফর্ম পূরণের জন্য টাকাও ছিল না। মা কষ্ট করে টাকা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি। তাই ফর্ম পূরণ করতে পারেনি। মা কাজে চলে যাওযায় বাড়ি ফাঁকাই ছিল। মায়ের সঙ্গে এক বার ফোনে কথাও হয় ছাত্রীর। কিন্তু তার পরেই গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মঘাতী হয় স্নেহা। শনিবার কাজ সেরে মা বাড়িতে ঢোকার সময় দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। ঘরে ঢুকে মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখে তিনি চিৎকার শুরু করেন। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =