সারা দেশের সঙ্গে প্রথম দফার ভোট শুরু হয়েছে বঙ্গেও। এই প্রথম দফার ভোটে অংশ নিয়েছেন জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দারা। এদিকে রাজভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে খোলা হচ্ছে পিস রুম। সেই মতো শুক্রবার রাজভবনের পক্ষ থেকে খোলা সেই পিস রুমেই শুক্রবার দেখা যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। রাজভবনের পিস রুমে ইমেলের মাধ্যমে ১৮৭টি অভিযোগ এসেছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর।
রাজভবনের তরফ থেকে এও জানানো হয়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাজভবনের পক্ষ থেকে খোলা হয় পিস রুম। উদ্দেশ্য একটাই, লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ ফোন করে সরাসরি তা জানাতে পারবেন রাজভবনে। ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকছে ওই পিস রুম। এদিন পিস রুমে রাজ্যপাল থাকাকালীন তাঁর সামনেই বেশ কিছু অভিযোগ আসে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপও করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজভবনের পক্ষ থেকে। এদিকে ভোটের দিন সকালেই সোজা কালীঘাট মন্দিরে পৌঁছে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দিলেন পুজো। প্রথম দফার ভোট যাতে সুষ্ঠভাবে, শান্তিতে হয় সে কারণেই পুজো রাজ্যপালের, এমনটাই জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, সকালে তাঁর কিছু কর্মসূচি আছে তারপরে সারাদিনই তিনি তাঁর পিস রুমে থাকবেন। উত্তরবঙ্গের সফর বাতিল হলেও যেখানে অশান্তির খবর আসবে সেখানেই তিনি ছুটে যাবেন বলে জানান রাজ্যপাল।
এদিকে এদিন সকালে ভোট পর্বের শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গের নানা প্রান্ত থেকে অশান্তির ছবি সামনে আসতে থাকে। সবথেকে বেশি অশান্তির ঘটনা নজরে আসে কোচবিহারে। তপ্ত হয় দিনহাটা, সিতাই, শীতলকুচি, ভেটাগুড়িও। সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গ থেকে এসেছে বেশ কিছু অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে সিভি আনন্দ বোস বলেন, রাজ্যপাল হিসেবে তিনি তার যে ভূমিকা সেটা তিনি পালন করবেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। ইভিএম জোর করে খারাপ করা হয়েছে, এমন অভিযোগও আসে কোচবিহার থেকে।
কোচবিহারের পাশাপাশি অভিযোগ এসেছে আলিপুরদুয়ার থেকেও। সেগুলি রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছেন বলে রাজভবন খবর। অন্যদিকে, রাজ্যপালকে আবার কড়া ভাষায় রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ভোট চলাকালীন ‘পিস রুম’-এর নামে তৃণমূল বিরোধী প্রচারের মঞ্চ চালাচ্ছেন রাজ্যপাল। আইনশৃঙ্খলা এখন কমিশনের দায়িত্বে। সেখানে রাজভবনের কোনো ভূমিকা নেই। রাজ্যপাল পরিকল্পিতভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।’