নদিয়ার হাঁসখালি থানার বেতনা অঞ্চলে বেতনা ফুটবল খেলার মাঠে বসে খেলা দেখছিল বাবা এবং মেয়ে। আর ওই মাঠেই গাড়ি চালানো শিখছিল অপর এক ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পরই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসে থাকা পিউ সাহা এবং পিতা কৃষ্ণ সাহার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়। চাকার তলায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছোট্ট পিউ সাহার, আশঙ্কাজনক অবস্থায় এলাকার মানুষ তার বাবা কৃষ্ণ সাহাকে তড়িঘড়ি কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই মৃত্যু হয় কৃষ্ণ বাবুর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষ অভিযুক্ত গাড়িটিকে ভাঙচুর করে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় হাঁসখালি থানার পুলিশ। গোটা ঘটনা পরিস্থিতি সামাল দেয় হাঁসখালি থানার পুলিশ। তবে গাড়ির চালক পলাতক। তবে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় হাঁসখালি বেতনা অঞ্চলে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটলেও পুলিশ গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের। তবে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এই গাড়ি চালানো শিখছিল হাঁসখালির দক্ষিণ পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের এক সদস্য। এই জন্যই কি ঘাতক চালককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? মৃতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই পরিবারে স্বামী স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ছিল সংসার। স্বামী ও একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর খবর আসতেই সাহা বাড়িতে শুরু কান্নার রোল। স্ত্রী গীতা সাহা কান্নায় ভেঙে পরছেন আর অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।