নিজস্ব প্রতিবেদন, অণ্ডাল: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। সিজেনো তার মধ্যে অন্যতম, এটি মূলত মাছের পার্বণ। তাই অনেকে এই পার্বণকে বাঙালির মাছভাত উৎসব বলে থাকে। সরস্বতী পূজার দিন ভাত, পঞ্চ ব্যঞ্জনের পাশাপাশি মাছের একাধিক পদ রান্না হয় কম বেশি প্রতি বাঙালির হেঁশেলে। পুজোর পরদিন কারও ঘরে জ্বলে না চুলো। এটাই রীতি ও পরম্পরা। আগের দিনের করা রান্না খাওয়া হয় পাত পেড়ে। এই পার্বণে তাই মাছের চাহিদা হয় তুঙ্গে।
এ বছরও তার ব্যতিক্রম হল না। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকেই উখড়া সহ খনি শিল্পাঞ্চলের মাছের আড়তগুলিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বুধবারও মাছ কেনাবেচা হয়েছে সারাদিন। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য, বিভিন্ন জেলা থেকে মাছ চাষিরা এদিন ভোররাতে মাছ বিক্রি করতে এসেছিলেন বিভিন্ন আড়তে। আড়ত মালিক গোপীনাথ ধীবর, সুজিত ধীবররা জানান, এবার মাছের জোগান বেশি রয়েছে।
চাহিদার থেকে জোগান বেশি হওয়ায় দাম রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। বড় ওজনের দেশি কাতলা, রুই বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কিলো দরে। ছোট মাছের দাম ছিল কিলো প্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। গত বছর এই সময় কিলো প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দরে মাছ বিক্রি হয়েছে। এছাড়া এবার সরস্বতী পুজোর সময় বিয়ের লগ্ন থাকার কারণেও মাছের চাহিদাতে প্রভাব পড়েছে বলে জানান তাঁরা। তবে দাম কম থাকায় খুশি লক্ষ্য করা গিয়েছে ক্রেতাদের চোখে মুখে।