জরিমানা আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের

নিউ ইয়র্ক, ১৮ ফেব্রুয়ারি: মোটা অঙ্কের জরিমানা আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। অভিযোগ, কম সুদে বেশি ঋণ পাওয়ার জন্য নিজের নির্মাণ ব্যবসার মোট সম্পত্তির পরিমাণ অনেকটা বাড়িয়ে দেখিয়েছিলেন তিনি।
ওই মামলায় ট্রাম্পকে প্রায় ৩৫ কোটি ডলার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। তবে তা সুদ সহ তা বেড়ে ৪৫ কোটি ডলার হতে পারে। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশ, আগামী তিন বছর ট্রাম্প নিউ ইয়র্কের কোনও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। এমনকী, এই তিন বছর তিনি নিউ ইয়র্কের কোনও সংগঠনের ডিরেক্টর পদেও থাকতে পারবেন না। ম্যানহাটনের এক আদালতে সেপ্টেম্বর থেকে একটানা এই মামলার শুনানি চলছিল। শুক্রবার শুনানি শেষ হয়। এরপরই বিচারপতি আর্থার এনগোরন এই রায় দেন।
উল্লেখ্য, আগামী নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে ফের লড়ার ক্ষেত্রে আদালতের এই রায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের জন্য নতুন করে বিপত্তি সৃষ্টি করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে পালটা লড়ার দাবি করেছেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। বিচারপতি এনগোরনকে ‘কুটিল’ বলে সম্বোধন করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, ‘নির্বাচনের আগে তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই রায় সম্পূর্ণ ভুল। এই অবিচার মানা যায় না।’
তবে শুধু ট্রাম্পই নন, তাঁর দুই ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র এবং এরিকও এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁদের ৪০ লক্ষ ডলার জরিমানা হয়েছে। দু’জনের ক্ষেত্রেই দু’বছরের জন্য নিউ ইয়র্কে ব্যবসা করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে রায়টিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন ডোনাল্ড জুনিয়র। আর এরিক বিচারপতিকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে সম্বোধন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − two =