নিজস্ব প্রতিবেদন, পুরুলিয়া: ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক ৯টা বেজে ৩৫ মিনিট। আর ১০ মিনিট পরেই ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু হবে জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। ঠিক তখনই পুরুলিয়া জেলার হুড়া থানার অন্তর্গত লক্ষণপুর জগদা সৎসঙ্গ ক্ষীরোদাময়ী বিদ্যাপীঠে আসা বর্ণালী হাঁসদা নামে এক পরীক্ষার্থী বুঝতে পারে যে, সে ভুল পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছে। তার সঠিক পরীক্ষা কেন্দ্র সেখান থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে হুড়া হাইßুñলে। ভুল করে অন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা ওই ছাত্রীর সঠিক জায়গায় পৌঁছতে আর ১০ মিনিট হাতে সময় রয়েছে।
জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় ভুল কেন্দ্রে চলে আশায় সে আর পরীক্ষা দিতে পারবে না ভেবে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়েই পুরোপুরি ভেঙে পড়ে ও কাঁদতে থাকে। বিষয়টি নজরে আসতেই সেখানে উপস্থিত থাকা হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ মাহাতো তড়িঘড়ি ওই পরীক্ষার্থীকে নিজের গাড়িতে করে নিয়ে যান তার সঠিক পরীক্ষা কেন্দ্র হুড়া হাইßুñলে। পরীক্ষা শুরুর ৩ মিনিট আগে অর্থাৎ ৯টা ৪২ মিনিটে ওই পরীক্ষার্থীকে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দেন হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ মাহাতো।
আর প্রসেনজিৎবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা সমস্ত অভিভাবক। অন্যদিকে প্রসেনজিৎবাবুর সহযোগিতায় বর্ণালী তার নিজের সঠিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে জীবনের প্রথম সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় বসতে পারায় প্রসেনজিৎবাবুকে ধন্যবাদ জানান ওই পরীক্ষার্থীর বাবা চিত্তরঞ্জন হাঁসদা থেকে শুরু করে সকলেই।