কলকাতার অভিজাত হোটেলগুলির মধ্যে একটি নিঃসন্দেহে গ্র্যান্ড হোটেল। এদিকে এই হোটেলের সামনের ফুটপাত দিয়ে চলাফেরা করাই দায়। কারণ, ফুটপাথ প্রায় পুরোটাই চলে গেছে হকারদের দখলে। শুধু তাই নয়, এই ফুটপাতেই বেআইনিভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ করে চলছে কেনাবেচা। যা নিয়ে শহরের মানুষদের একটা বড় অংশের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এমন ঐতিহ্যবাহী হোটেলের সামনে ফুটপাতের চিত্র নিয়েওউঠেছে প্রশ্ন। আর এই বিষয়ে তা কলকাতা পুরসভার কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট। কারণ, হোটেলের সামনে ফুটপাত দখল করে হকারদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল গ্র্যান্ড হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাদের অভিযোগ, হোটেলের সামনের ঝুল বারান্দার নীচে হকারদের রাজত্ব চলছে। সেখানে রীতিমতো পাকাপাকি কাঠামো বানিয়ে ব্যবসা হচ্ছে। রাস্তার লাইটপোস্ট থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ টেনে নিয়েছেন হকাররা। ফলে বাগড়ি মার্কেটের মত যে কোনও দিন এখানে আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানিতে পুরসভা জানায়, কোথা থেকে হকাররা বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছে তা তারা জানে না। নিউমার্কেট থানা আদালতে জানায়, হোটেলের প্রবেশ ও বাহির পথ ফাঁকা রাখার চেষ্টা করে তারা। এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চান, ‘কে হকারদের ওখানে ব্যবসা করার অনুমতি দিল? তাঁদের বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পর্কে সিইএসসি কিছুই কি জানে না?’
শুনানি শেষে বিচারপতি পুরসভাকে নির্দেশ দেন, কীভাবে ওই ফুটপাত খালি করা যায় তা আদালতে জানাতে হবে। পাশাপাশি সিইএসসিকে তথ্য পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি বলেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া সেখানে নতুন করে কোন হকারকে লাইসেন্স দেওয়া যাবে না। ৫ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। পুরসভা ও সিইএসসিকে তারমধ্যেই হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে আদালতে।