২০২৪ সালের গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে জেলা প্রশাসনের। আগামী ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গঙ্গাসাগর মেলা। এবারের মেলায় আরও উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হবে। কুয়াশার মোকাবিলায় ফগ লাইট থেকে শুরু করে পরিবহণ ব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না জেলা প্রশাসন। গত বছরের তুলনায় এবার পরিবহণ ব্যবস্থায় যথেষ্ট জোর দেওয়া হয়েছে। রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত বাস। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এবারে মুড়িগঙ্গায় হঠাৎ গজিয়ে ওঠা চর নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন। চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতির কাজ। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঙ্গাসাগর মেলায় প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। শুক্রবার আলিপুর নব প্রশাসনিক ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, অতিরিক্ত জেলাশাসক, জেলা তথ্য সংস্কৃতিক আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, “ইতিমধ্যেই ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। তবে যা ড্রেজিং করা হয়েছে কাজে লাগবে এবং আশা করা যায় এই সমস্যা ৫ তারিখের মধ্যে মিটে যেতে পারে। মোট তিনটে ড্রেজার গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকবে। গত বছরের মতো এবারও মেগা কন্ট্রোল রুমে থাকছে সব ব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ড্রোন দিয়ে নজরদারি চলবে। গত বছর গঙ্গাসাগর মেলায় কুয়াশার কারণে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ সমস্যার তৈরি হয়েছিল। সেই সমস্যার মোকাবিলায় এবার আরও বেশি ফগ লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেটিগুলিতে আরও বেশি আলোর ব্যবস্থা করা হবে। প্লাস্টিক ফ্রি মেলায় বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে জনগণের সচেতনতার জন্য পদযাত্রার করা হবে। এছাড়া প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের তিনটি ইউনিটের ব্যবস্থা থাকবে। মেলার স্বাস্থ্য পরিষেবায় পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতাল, চারটি অ্যাম্বুলেন্স ও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো নিরাপত্তা নজরদারির পাশাপাশি, অতিরিক্ত পুলিশ-কর্মী সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের মোতায়ান করা হবে।“
এছাড়াও গঙ্গাসাগরে ব্যাপক পুণ্যার্থীদের সমাগমের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা থাকে। তাই মোবাইল ও ইন্টারনেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির জন্য জিও, এয়ারটেল-সহ সমস্ত কোম্পানির সাথেই কথা চলছে। জেলা প্রশাসনের তরফে আশা করা হচ্ছে এবছর কিছুটা হলেও সেই সমস্যা মিটবে। এবারের মেলায় ৫০ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হবে বলে আশা জেলা প্রশাসনের।