শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে হানা দেওয়ার পাশাপাশি এবার বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর তথা তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও পৌঁছাতে দেখা গেল সিবিআই আধিকারিকদের। এদিকে ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। শুধু মাত্র দেবরাজ কিংবা বাপ্পাদিত্য নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার শহরের চার থেকে পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে। তার ভিত্তিতেই তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ। সার্চ ওয়ারেন্ট দেখিয়েই চলছে তল্লাশি। সূত্রে খবর, এর আগে দেবরাজকে একটি নির্দিষ্ট মামলায় তলব করা হয়েছিল তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে।
এদিকে সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন সকাল ৯টা নাগাদ দেবরাজের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। সেই সময় অবশ্য তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তবে বাড়িতে সিবিআই আসার খবর পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর তাঁকে নিয়ে বাড়ির মধ্যে যান গোয়েন্দারা। কোন মামলার জন্য তাঁর বাড়িতে এই সিবিআই হানা তা যদিও এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিকে দেবরাজের গোটা বাড়ি মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়। প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় তদন্তকারীরা।
গত বছর ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় দেবরাজকে তলব করা হয়েছিল। বাগুইআটি থানা এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। সেই সময় দেবরাজ অবশ্য জানিয়েছিলেন, ‘আমাকে একটা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমাকে ডাকা হয়েছে। তদন্তে সাহায্য করব। আমার কাছে যতটা তথ্য রয়েছে জানাব।’ উল্লেখ্য, দমদম পার্ক হরিচাঁদ পল্লির বাসিন্দা প্রসেনজিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির পাশ থেকে। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২২ সালে এই মামলার তদন্ত গিয়েছিল সিবিআই-এর হাতে। তদন্তে নেমে দেবরাজকে তলব করা হয়েছিল।