ব্যারাকপুর: ক্লাস চলাকালীন শনিবার সকালে টিটাগড়ের স্কুলে বোমাবাজির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।ধৃতদের মধ্যে ছিল ওই স্কুলেরই এক প্রাক্তন পড়ুয়া।সূত্রের খবর, জেরায় তারা স্বীকার করেছে খেলার ছলেই বোমাবাজি করেছিল। স্কুলের ওই প্রাক্তন ছাত্রের সঙ্গে ছিল তার তিন বন্ধুও। পুলিশ সূত্রে খবর, তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে।
চার ধৃতদের নাম, মহম্মদ আয়রন, শেখ বাবলু, মহম্মদ সাদিক এবং রোহন। সকলেই ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী। প্রশ্ন উঠেছে তাদের হাতে বোমা এল কী করে! খেলার ছলে বোমা ছুড়ে দেওয়া, বিষয়টা এত সহজ হয়ে উঠছে কী করে সদ্য যুবাদের কাছে?
কোথা থেকে তারা বোমা পেয়েছিল, তারা সত্যি বলছে কি না, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাই স্কুলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। তার আগে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। শুভেন্দু ও লকেট রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দেগে বলেন, গোটা বাংলা এখন বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।
যদিও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ওপরেই ভরসা রেখে, দ্রুত দোষীরা ধরা পড়বে আশ্বাস দিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। শনিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। ফরেন্সিক দলও ঘটনাস্থলে যায়। বোমার স্প্লিন্টার উদ্ধার করে পরীক্ষাগারে পাঠায়। তারপরই ধরা পড়ে চার যুবক।