হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালির পথে রওনা দিয়ে প্রথমে বাধা পেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ বৃন্দা কারাত। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিতে প্রবেশ করতে পারেন শুভেন্দু ও বৃন্দা।
শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং শঙ্কর ঘোষ সন্দেশখালি যেতে পারবেন। তাঁদের সঙ্গে কোনও সমর্থক বা দলীয় কর্মী যেতে পারবেন না। তা নিশ্চিত করতে হবে। এলাকায় যেন শান্তি ভঙ্গ না হয়, সেটা দেখবে রাজ্য পুলিশ। এরপরই শুভেন্দু সন্দেশখালিতে প্রবেশ করেন।
টোটোয় বসেই শুভেন্দু বলেন, ‘এলাকার মানুষ শান্তি চায়। শেখ শাহজাহানের ফাঁসি চায়। শাহজাহানের পালানোর উপায় নেই।’ শুভেন্দু অধিকারী গ্রামে প্রবেশ করতেই বেরিয়ে আসেন বাড়ির মহিলারা। নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানান বিরোধী দলনেতা। একই সঙ্গে তাঁকে বরণ করে নিতেও দেখা যায় । কেউ কেউ আবার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। শুভেন্দু তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা এখন কেমন আছেন। লড়াই চালানোর বার্তাও দেন বিরোধী দলনেতা। সন্দেশখালিতে সব পরিবর্তন হয়ে যাবে। শান্তি ফিরে আসবে। সন্দেশখালির সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। সাধারণ মানুষে সঙ্গে কথা বলার সময় শুভেন্দুর আশ্বাস, ‘আপনারা সঙ্গে থাকবেন তো? তা হলেই হবে। তা হলেই শাহজাহান ফিনিশ।’