কলকাতা : বিহারের মতো এবার পশ্চিমবঙ্গেও এস আই আর-এর কঠোর রূপায়ণের দাবি তুললেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে মারাত্মক একটি অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সম্প্রতি ভোটার তালিকায় নাম তুলতে প্রতি সপ্তাহে ৭০ হাজার ‘ফর্ম ১৬’ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সাধারনত জমা পড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার ‘ফর্ম ১৬’ আবেদনপত্র। সীমা ছাড়িয়ে এক ধাক্কায় সত্তর হাজার জমা পড়ার ঘটনা রীতিমতো উদ্বেগের।
এই ব্যাপারে সোমবার তিনি এক্স পোস্টে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহে গড়ে ৭০,০০০-এরও বেশি ফর্ম-৬ আবেদন জমা পড়েছে, যা স্বাভাবিক ২০,০০০-২৫,০০০ থেকে অনেক বেশি। বিশেষ করে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়।”
তিনি লিখেছেন, “এই বৃদ্ধি, সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের দেওয়া আবাসিক শংসাপত্রের প্রতিবেদন— সব মিলিয়ে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের বৈধতা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের অনৈতিক এবং অবৈধ প্রচেষ্টার ইঙ্গিতবাহী। এটিতে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। কারণ, এই প্রবণতার লক্ষ্য আমাদের ভোটার তালিকা হেরফের করা।
আমি ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি যে, যদি পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের কাজ চলতে থাকে তাহলে ২৫ জুলাই বা তার পরে জারি করা কোনও আবাসিক শংসাপত্র যেন নির্বাচনী তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন চলাকালীন গ্রহণ বা বিবেচনা করা না হয়।
আমাদের গণতন্ত্রের অখণ্ডতা রক্ষা করতে হবে এবং ভোট ব্যাংক রাজনীতির স্বার্থে এটিকে লঘু করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের মনে রাখতে হবে যে তাঁদের উপর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত। এবং তাঁদের আনুগত্য দেশের প্রতি এবং দেশের স্বার্থ রক্ষার প্রতি।”

