উত্তর ২৪ পরগনা : পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু তোষণ ও অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঝাঁঝালো আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের প্রতিবাদে পেট্রাপোলের পর মঙ্গলবার ঘোজাডাঙা সীমান্তে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “উনি বুঝতে পারছেন ৩০ শতাংশ নিয়ে ভোট বৈতরণী পার করতে পারবেন না। ৭০ শতাংশ এক হয়ে যাচ্ছে। তাই বিধানসভায় বাংলাদেশের হিন্দুদের পক্ষে কথা বলছেন। ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।”
মমতা সুর নরম করছে বলে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষার লড়াই সামনে আসতেই মুখ্যমন্ত্রীর ভাষার পরিবর্তন হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ বদলে যাচ্ছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। “মুখ্যমন্ত্রী বলেন ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমি বলি ধর্ম যার যার, রক্ষা করার দায়িত্ব তার তার। সন্ন্যাসীদের দেখে শিখুন, বাংলাদেশের হিন্দুদের দেখে শিখুন কীভাবে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করতে হয়। ৫০ শতাংশ পেরোলেই ওরা পার্সোনাল ল কায়েম করবে। মোদীজি জব্দ করেছেন ট্রিপল তালাক প্রথায় রদ এনে।”
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত এবং সীমান্তে বেড়া দেওয়া—মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দুটি চ্যালেঞ্জ ছোড়েন শুভেন্দুবাবু।
বিরোধী দলনেতা বলেন, “সিদ্দিকুল্লাকে বহিষ্কার করতে পারবেন? কারণ উনি মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন।”
শুভেন্দুবাবু বলেন, “অমিত শাহ ২০২৩ সালে নবান্নে এসেছিলেন। বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় বলেছিলেন ভারত-বাংলাদেশের ২২০০ কিলোমিটার সীমান্ত পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। ৯৩১ কিলোমিটার বেড়া সম্পূর্ণ করতে যে জমির দরকার, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন না। যার জেরে শাহজাহানরা রোহিঙ্গাদের ঢোকাচ্ছে।”
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অপরাধের ঘটনায় বাংলাদেশি যোগ উঠে এসেছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। জানান, দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে, ইন্দোরে সেক্স ব়্যাকেটে বাংলাদেশি গ্রেফতার হয়েছে।,গোসাবা, বারুইপুর বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাংলাদেশিরা ঢুকছে বলে দাবি করেন শুভেন্দুবাবু।
রাজ্যের হিন্দুদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “ভাবছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার তো পান, বাংলাদেশে শাখা-পলা দেখলেই মারছে, মাথায় সিঁদুর দেখলে মারছে, ধুতি পরলে খুলে দিচ্ছে।”