এ বারের আইপিএলে ২২ গজে ব্যাট হাতে দেখা যাবে না মিস্টার আইপিএলকে। তবে তিনি জড়িত থাকছেন আসন্ন আইপিএলে। সুরেশ রায়নাকে আইপিএল ২০২২ মেগা নিলাম থেকে কোনও দল কেনেনি। কিন্তু নতুন ভূমিকায় আইপিএল-১৫-র মঞ্চে দেখা যাবে রায়নাকে। ২৬ মার্চ শুরু হতে চলা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ধারাভাষ্যে হাতেখড়ি হতে চলেছে সুরেশ রায়নার। তারই আগে আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে তিনি জানালেন, তাঁর চোখে চেন্নাই সুপার কিংসে ধোনির উত্তরসূরি হতে পারেন কে। তিনি নাই বা থাকুক সিএসকের বর্তমান সদস্য। কিন্তু তাঁর মনে এখনও ইয়েলোব্রিগেডের একটা আলাদা জায়গা রয়েছে। আর মাহির সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের সম্পর্কও বেশ গভীর। রায়নার মতে সিএসকেতে ধোনির জায়গা নিতে পারেন চেন্নাইয়ের চার প্লেয়ার।
রবীন্দ্র জাডেজা, অম্বাতি রায়ডু, রবিন উথাপ্পা এবং ডোয়েন ব্র্যাভো। এই চার ক্রিকেটার মধ্যে যে কোনও একজন চেন্নাই সুপার কিংসে ধোনির উত্তরসূরি হতে পারেন। এমনটাই মনে করেন রায়না। তিনি বলেন, “রবীন্দ্র জাডেজা, অম্বাতি রায়ডু, রবীন উথাপ্পা এবং ডোয়েন ব্র্যাভো চেন্নাইয়ের হয়ে নেতৃত্ব দিতে পারে। ওদের মধ্যে সেই ক্ষমতাটা রয়েছে। ওরা খেলাটা বেশ ভালোভাবে বোঝে এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির উত্তরসূরি হওয়ার যোগ্যও।” রায়না যে চার প্লেয়ারকে বেছে নিয়েছেন তাঁদের মধ্য়ে জাডেজার বয়স সব থেকে কম। ফলে বাকি তিন প্লেয়ার আর কতদিন খেলা চালিয়ে যাবেন, সে নিয়ে কোনও পরিস্কার ধারণা নেই। তবে জাডেজা কিন্তু এখনও বেশ কয়েকবছর খেলে যাবেন। এমনটাই ধারণা ক্রিকেটমহলের।
এ বারের আইপিএলে ধারাভাষ্য দেওয়ার জন্য রায়না তৈরি কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরে, রায়না জানান যে ধারাভাষ্য করা সত্যিই কঠিন কাজ। তবে তিনি তৈরি। তিনি বলেন, “আমি এর জন্য প্রস্তুত। আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু ইরফান পাঠান, হরভজন সিং, পীযুষ চাওলা ইতিমধ্যেই ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত। এবং এ ছাড়া এই মরসুমে আমাদের সঙ্গে রবি শাস্ত্রীও থাকবেন। তাই আমি আশা করি এটা আমার জন্য সহজ হবে। আমি আমার বন্ধুদের কাছ থেকে টিপস নিতে পারি।”
২০০৮ সাল থেকে আইপিএলে সব মিলিয়ে ২০৫ ম্যাচ খেলেছেন রায়না। করেছেন ৫৫২৯ রান। ১টা সেঞ্চুরি, ৩৯টা হাফসেঞ্চুরি। ২০৩টে ছয় মেরেছেন উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটার। আইপিএলের প্রথম নিলামে রায়নাকে সিএসকে নেওয়ার পর বলেছিলেন, চেষ্টা করবেন যাতে টিমকে সেরা সাফল্য দিতে পারেন। কথা রেখেছিলেন রায়না। শুধু চেন্নাইয়ের হয়ে ১৭৬টা ম্যাচ খেলে ৪৬৮৭ রান করেছেন। চেন্নাই আইপিএল থেকে নির্বাসিত হওয়ার গুজরাত লায়ন্সের হয়ে ২৯ ম্যাচে ৮৪১ রান করেছিলেন। ছ’টা হাফসেঞ্চুরিও করেছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল ধরলে, প্রতি মরসুমে আইপিএলে ৪০০-র বেশি রান করেছেন তিনি।