সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন শুভাশিস বসু। মেয়েদের ফুটবলে বর্ষসেরা সৌম্যা গুগুলোথ। শুক্রবার ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত হয় এআইএফএফ অ্যাওয়ার্ডস ডে। কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালের আগের রাতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। ছেলেদের ফুটবলে সেরা কোচ হন খালেদ জামিল। মেয়েদের বিভাগে সুজাতা কর। সেরা গোলকিপার মোহনবাগানের বিশাল কাইত। সেরা উঠতি ফুটবলার ব্রাইসন ফার্নান্দেজ। সপ্তম ডিফেন্ডার হিসেবে ফেডারেশনের বর্ষসেরার পুরস্কার জিতলেন শুভাশিস। এর আগে এই তালিকায় ছিলেন সন্দেশ ঝিঙ্গন, সৈয়দ রহিম নবি, গৌরমাঙ্গি সিং, সুরকুমার সিং, দীপক মণ্ডল এবং ভিপি সত্যেন।
শুভাশিসের নেতৃত্বে এবার আইএসএল লিগ শিল্ড এবং কাপ জেতে মোহনবাগান। এক মরশুমে সবচেয়ে বেশি ক্লিনশিটের রেকর্ড করে কলকাতার প্রধান। পাশাপাশি দলের হয়ে ছ’টি গোলও করেন শুভাশিস। ২০১২ সালে বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন নবি। তারপর এই প্রথম বাংলার কোনও ফুটবলার সেরার শিরোপা পেল। ঐতিহাসিক মরশুমের জন্য সেরা গোলকিপার হলেন বিশাল কাইত। ১৫টি ক্লিনশিট রাখার পর দ্বিতীয়বার আইএসএলে গোল্ডেন গ্লাভস পান। আইএসএলের ইতিহাসে প্রথম গোলকিপার হিসেবে ক্লিনশিটের হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছন। অন্যদিকে তেলেঙ্গানার প্রথম ফুটবলার হিসেবে মেয়েদের ফুটবলে বর্ষসেরা হলেন সৌম্যা গুগুলোথ। ২৩ বছরের উইঙ্গার ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা। নয় গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ভারতসেরা হতে সাহায্য করেন। পরপর দু’বার ফেডারেশনের বর্ষসেরা কোচ হলেন খালেদ জামিল। জামশেদপুরকে আইএসএলের সেমিফাইনালে তোলেন। পাশাপাশি কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে ওঠে তাঁর দল। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে সহ উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। এছাড়াও ছিলেন ওড়িশার ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী কনক বর্ধন সিং দেও।