নিউ ইয়র্ক, ৮ জানুয়ারি: জেফ্রি এপস্টাইনের নথিতে বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের নাম! তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকা নিগ্রহের অভিযোগ! জেফ্রি এপস্টাইনের ব্যক্তিগত দ্বীপে একাধিক নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্ভোগের গুঞ্জন উঠেছিল পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের বিরুদ্ধে। আরও সেই গুঞ্জন ধামাচাপা দিতে বান্ধবী গিসলেন ম্যাক্সওয়েলকে ইমেল করেছিল আমেরিকান ধনকুবের তথা নাবালিকা যৌনচক্রের মাথা জেফ্রি এপস্টাইন।
২০১৫ সালে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভার্জিনিয়া জিওফ্রে নামে এক মহিলা। যৌন ব্যবসায় কাজে লাগানোর জন্য আরও কয়েকজন অল্প বয়সি মহিলার সঙ্গে তাঁকেও জেফরি এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগী গিসলেন ম্যাক্সওয়েল পাচার করেছিলেন বলে তাঁর অভিযোগ। ওই সময় তিনি কিশোরী ছিলেন বলে জানান ভার্জিনিয়া। যদিও ভার্জিনিয়া জিওফ্রে নামে যে মহিলার মামলার সূত্রে ওই সমস্ত নথি প্রকাশ করা হয়েছে, হকিংয়ের বিরুদ্ধে তিনি সরাসরি কোনও অভিযোগ জানাননি। হকিংয়ের বিরুদ্ধে আর কেউ যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেননি।
২০১৫সালে গিসলেন ম্যাক্সওয়েলকে ইমেল পাঠিয়ে ভার্জিনিয়া নামে ওই মহিলার অভিযোগগুলি যে কোনও মূল্যে ধামাচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছিল এপস্টাইন। এপস্টাইনের দাবি ছিল, ষড়যন্ত্র করে হকিংয়ের বিরুদ্ধে ওই ধরনের অভিযোগ আনার চেষ্টা চলছে। যদিও ওই ইমেলে হকিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন বা নাবালিকা নিগ্রহের অভিযোগের কোনও প্রমাণ ছিল না। ২০০৬ সালে নাবালিকা যৌন চক্র ও নিগ্রহের প্রথম মামলা হয় এপস্টাইনের বিরুদ্ধে। সেই বছর মার্চেই ক্যারিবীয় সাগরে এপস্টাইনের ব্যক্তিগত দ্বীপে বিজ্ঞান সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন হকিং।
২০১৯ সালে যৌন ব্যবসার নানা অভিযোগের বিচার শুরুর আগে কারাগারে আত্মহত্যা করেন এপস্টাইন। আর গত ডিসেম্বরে নিউইয়র্কের একটি আদালতের বিচারক এপস্টাইনের মামলার নথিগুলো প্রকাশের অনুমতি দেন। এই নথিতে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অ্যান্ড্রু সহ খ্যাতনামা ব্যক্তিদের নাম ওঠায় শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।