বঙ্গের জোড়া সভায় অমিত শাহর নিশানায় রাজ্যের দুর্নীতি ইস্যু

মালদহে দক্ষিণে রোড-শো এবং তার পরে রায়গঞ্জে সমাবেশ। বাংলায় এসে জোড়া কর্মসূচিতে চাকরি বাতিল নিয়েও আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৫,৭৫৩ চাকরি বাতিল হয়। মঙ্গলবার নানা বিষয়ে আক্রমণের মধ্যে এসএসসি দুর্নীতির প্রসঙ্গও তুললেন শাহ।
মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার এবং রোডশো করতে এসে এভাবেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন উত্তরবঙ্গে দ্বিতীয় দফায় মালদহ এসে রোড শো করেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইংরেজবাজার শহরের ফোয়ারা মোড় থেকে রবীন্দ্র অ্যাভেনিউ এলাকার রবীন্দ্রমূর্তির কাছেই রোড-শো শেষ হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দক্ষিণ মালদহের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে হুডখোলা গাড়িতে পাশে নিয়ে এই রোড-শো করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রোড-শোকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ও দলীয় ঝান্ডায় সামিল হন দলীয় নেতা, কর্মীরা।
তিনি বলেন, ‘গতকালই ২৫ হাজার চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। ১০ লাখ, ১৫ লাখ টাকা করে চাকরির জন্য ঘুষ নিত। মা-বোনেরা, আপনাদের কাছে, আপনাদের ভাই-ছেলেদের চাকরি জোটানোর জন্য ১৫ লাখ টাকা আছে? নেই তো? তা হলে ওঁরা চাকরি পাবেন কী ভাবে?’
রায়গঞ্জের সভায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেও আক্রমণ করেন শাহ। তিনি বলেন,‘ওঁদের এক মন্ত্রীর ঘর থেকে ৫১ কোটি টাকা নগদ বেরিয়েছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ জেলে বসে আছেন।’ একই সঙ্গে শাহ বলেন, ‘আমি জানতে চাই, এই কাটমানি, এই চাকরি, খনিতে দুর্নীতি বাংলায় আটকানো উচিত কি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা পারবেন? এটা শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদি সরকারই বন্ধ করতে পারবে।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও বলেন, উজ্জ্বল ভারত গড়তে গেলে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হবে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গেলে এনআরসি এবং সিএএ দরকার। ভ্রষ্টাচার বন্ধ করতে হবে। বেকারত্ব দূর করতে হবে। যেটা গত দু-বারে ক্ষমতায় থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকার করেছেন। এরাজ্যে তৃণমূল সরকার শুধু দুর্নীতি আর ভ্রষ্টাচার করে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর একটাই ভাষা সেটাই হচ্ছে আপনাদের ভোট। এই ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীকে অন্তত এক লক্ষেরও বেশি ভোট দিয়ে জয়ী করতে হবে।
শাহ প্রথম থেকেই রাজ্য বিজেপিকে ৩৫ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন। এর পরে তাঁর মুখে ৩০-এর বেশি আসনের কথা শোনা গিয়েছিল। মঙ্গলবারও তিনি বলেন, ‘৩০ আসন জিতিয়ে দিন। মমতাদিদির হিম্মত হবে না উন্নয়ন আটকানোর।’ একই সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে নাম না করে শাহ বলেন, ‘সিএএ কার্যকর হলে আপনার কী সমস্যা?’ সিএএ নিয়ে হুঙ্কার দিয়ে শাহের দাবি, কংগ্রেস, তৃণমূলের ক্ষমতা হবে না সিএএ আটকানোর। সন্দেশখালি প্রসঙ্গও ছিল শাহের মঙ্গলবার বত্তৃ«তায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 4 =