দেশের চরম আর্থিক দুরবস্থার পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ ও অফিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল শ্রীলঙ্কা সরকার (Sri Lanka)। জ্বালানির অভাবে ধুঁকছে দ্বীপরাষ্ট্র। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। যানবাহন চালানোর মতো প্রয়োজনীয় তেলও পাওয়া যাচ্ছে না। সবদিক ভেবেই আপাতত সরকারি অফিস ও শিক্ষাকেন্দ্র (Sri Lanka School Shut) বন্ধ রাখা হবে। সোমবার থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে। তবে অনলাইন ক্লাস করাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের।
ইতিমধ্যেই প্রতি শুক্রবার ছুটি ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। সরকারি কর্মচারীদের কৃষিক্ষেত্রে গিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে, কারণ অদূর ভবিষ্যতে খাদ্যাভাব প্রকট হয়ে উঠবে শ্রীলঙ্কায়। সেই কারণে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে ছুটি দেওয়া হয়েছে তাঁদের। আগামী তিনমাস এই নিয়ম কার্যকর থাকবে।
শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) বিদেশি মুদ্রাও কমে এসেছে। সেই কারণে বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করতে পারছে না তারা। নিজেদের সঞ্চিত জ্বালানির পরিমাণও কমে গিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিনে প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। এমন অবস্থায় দেশের শিক্ষা দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দিনের অধিকাংশ সময়েই বিদ্যুৎ থাকছে না। সেই কারণেই আপাতত স্কুল বন্ধ থাকবে।বাড়িতে বসে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পড়াশোনা চলবে। তবে বিদ্যুৎ না থাকলে অনলাইন ক্লাস কী করে সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।