কলকাতার অন্যতম মিষ্টি জলের সরোবর রবীন্দ্র সরোবরের প্রাকৃতিক পরিবেশের মানোন্নয়নে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে কেএমডিএ। জলের পরিমাণ, দূষণ এবং পাড়ের ক্ষতি মাপতে বিশেষ যন্ত্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই যন্ত্র বসানোর কাজ শুরু হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরের জলে প্রচুর জলজ প্রাণীর বাস। তাই তারা যাতে সুস্থ ভাবে থাকতে পারে, সে জন্য জলের গুণমান এবং জলের উচ্চতা ঠিকঠাক বজায় রাখা। সে জন্যই বিশেষ যন্ত্র বসানোর ওই সিদ্ধান্ত। কেএমডিএ সূত্রের খবর, জলাশয়টিতে প্রায় ১৬টি সেন্সর বসানো হবে। জলাশয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হলে, স্ক্রিনেই তা দেখা যাবে কেএমডিএ-র অফিসে বসে। জল দূষিত হলে সাফাইয়ের ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। আবার প্রয়োজনে অতিরিক্ত জল যাতে বার করে নেওয়া যায়, সে জন্য নিকাশি নালা তৈরির লক্ষ্যে সরোবরের মাটির নীচ দিয়ে বিকল্প পথ তৈরিরও চেষ্টা চলছে। বিদেশের অনেক শহরে জলাশয়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আইওটি ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কলকাতার কোনও জলাশয়ের ক্ষেত্রে এমনটা এর আগে হয়নি বলে কেএমডিএ-র কর্তাদের দাবি।২০২০ সালে আমফানের পর থেকেই বেশ কয়েক বার মাছ মরে ভেসে ওঠার ঘটনা সামনে এসেছে রবীন্দ্র সরোবরে। মাছের মৃত্যুর কারণ জানতে যে কমিটি তৈরি করা হয়েছিল, তার সদস্যরা সরোবরের জলাশয় খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার পর বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন। তার ভিত্তিতেই এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত।