রাজ্যপালের কাছে রাজ্যের পেশ করা মোট ২২টি বিল আটকে রয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে বিল আটকে রাখা নিয়ে রাজ্যপালের সমালোচনায় সরব রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক নয়। জনগণের জন্য বিল পেশ হয়, তার মর্যাদা রাজ্যপালের দেওয়া উচিত। বিল আটকে রাখার অধিকার নেই। কোনও সুপারিশ থাকলে সেই সুপারিশ সমেত বিল ফেরত পাঠাতে উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের।’
উল্লেখ্য,প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে সংশ্লিষ্ট রাজ্যপালের বিল আটকে রাখা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপালের কাছে বিধানসভা থেকে বিল এলে দ্রুত তার কাজ শুরু করা উচিত। সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতা করলে তবেই কাজ শুরু হবে এটা ঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিল থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল আটকে রয়েছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কাছে। বহুবার এই দাবি করছে রাজ্য সরকার। এমনকী, বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের বিরোধিতা করতে শোনা গিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্যপালের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। যদিও, দু’দিন আগেই পুজোর বিজয়া সারতে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করা হয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে বার্তা পৌঁছে দিতে রাজ্যপাল সাহায্য করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্য-রাজ্যপাল মিঠে কড়া সম্পর্কের মাঝেই আটকে থাকা বিল সংক্রান্ত বিষয়ে স্পিকারের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।