এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। উপভোগ করলেন খোদ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কয়েক দিন আগেই একটি সাক্ষাৎকারে সৌরভ জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে তিনি একেবারেই চিন্তিত নন। তার কারণ, শুভমন-যশস্বীর মতো তরুণরা রয়েছেন। আরও অনেকে জাতীয় দলে সুযোগের অপেক্ষায়। প্রথম টেস্টে দু-ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন ঋষভ পন্থ। যশস্বী, শুভমন এবং লোকেশ রাহুলও সেঞ্চুরি করেছিলেন। এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে শুভমন গিল একাই করলেন ২৬৯। এশিয়ার প্রথম কোনও ক্যাপ্টেন ইংল্যান্ডের মাটিতে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ডও গড়লেন শুভমন। যার সৌজন্যে এজবাস্টন টেস্টের দ্বিতীয় দিন সুবিধাজনক জায়গাতেই ভারত।
ম্যাচের প্রথম দিনই ৩১০ রান তুলেছিল ভারত। শুভমন-জাডেজার পর শুভমন-ওয়াশিংটন সুন্দর। দুটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ হয়। ৫৮৭ রানে শেষ হয় ভারতের প্রথম ইনিংস। অনেকটা আক্ষেপের জায়গা যশস্বীর পর রবীন্দ্র জাডেজার সেঞ্চুরি মিসও। ম্যাচের প্রথম দিন ৮৭ রানে ফিরেছিলেন যশস্বী। দ্বিতীয় দিন ৮৯ রানে আউট রবীন্দ্র জাডেজা। ইংল্যান্ড বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট নেন শোয়েব বশির।
ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে বাজ়বল খেলছে। তবে বোর্ডে বড় স্কোর থাকলে যে কোনও দলই চাপে পড়তে বাধ্য। বুমরা না থাকায় বোলিং নিয়ে চাপে অবশ্য ভারতই। তবে শুরুটা যেন অনেক চিন্তা দূর করল। ইংল্যান্ড শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিং করে। কিন্তু ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই জোড়া ধাক্কা। বুমরার পরিবর্তে একাদশে আসা আকাশ দীপ পরপর দু-বলে ফেরান বেন ডাকেট ও ওলি পোপকে। ইনিংসের অষ্টম ওভারে জ্যাক ক্রলিকে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। ইংল্যান্ড ইনিংসের হাল আপাতত জো রুট ও হ্যারি ব্রুকের উপরই নির্ভরশীল। ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। তবে এখনও ৫১০ রানে পিছিয়ে। ভারতের নজর, ম্যাচের তৃতীয় দিন দ্রুত ইংল্যান্ডকে গুটিয়ে দেওয়া।