দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা করেছে নির্বাচকরা। প্রত্যাশা ছিল, দুরন্ত ফর্মে থাকা বাংলার পেসার মহম্মদ শামি ফিরবেন জাতীয় দলে। কিন্তু অজিত আগরকর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি ফের উপেক্ষা করল অভিজ্ঞ এই বোলারকে। একইভাবে বাদ পড়েছেন বাংলার আর এক ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরণও। অন্যদিকে, চোট সারিয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটল ঋষভ পন্থ এবং আকাশ দীপের।
ইংল্যান্ড সফরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চোট পাওয়া পন্থ দীর্ঘ পুনর্বাসনের পর অবশেষে মাঠে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭ রানে আউট হয়ে হতাশ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ব্যাটে দেখা যায় পুরনো ছন্দ। দুরন্ত ৯০ রানের ইনিংস খেলে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। সেই পারফরম্যান্সেই নির্বাচকদের বিশ্বাস অর্জন করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। তাই তাঁর দলে ফেরা অনেকটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র ছিল। এই প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে প্রায় ৯৫ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন তিনি।
অন্যদিকে, বাংলার তরুণ পেসার আকাশ দীপও ফিরে এসেছেন দলে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগে চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন আকাশ। তাঁর ধারাবাহিকতা নির্বাচকদের নজর কাড়তে সাহায্য করেছে।
তবে সবথেকে বড় প্রশ্ন থেকে গেল মহম্মদ শামিকে নিয়ে। ৩৫ বছর বয়সি এই পেসার চোট সারিয়ে রনজি ট্রফিতে দুরন্ত শুরু করেছিলেন। প্রথম দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে জানান দিয়েছিলেন, এখনও জাতীয় দলে ফেরার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। ত্রিপুরার বিরুদ্ধে উইকেট না পেলেও ফিটনেস এবং স্পেল ধরে রাখার ক্ষমতা ছিল প্রশংসনীয়। তবুও নির্বাচকরা তাঁকে বিবেচনা করেননি। অনেকেই মনে করছেন, ফিটনেস বা বয়স নয়, বরং নতুন মুখদের সুযোগ দিতে গিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের টেস্ট স্কোয়াডে যেমন প্রত্যাবর্তনের গল্প আছে, তেমনই আছে কিছু বিতর্কও। পন্থ ও আকাশ দীপের ফেরায় দল শক্তিশালী হলেও, শামির অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেট মহলে—ফিট ও ফর্মে থাকা এক অভিজ্ঞ পেসারকে কেন বারবার উপেক্ষা করা হচ্ছে?

