কলকাতা: হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ, গোয়েন্দা। খবর ছিল বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর কাছে। সে কারণেই বাইরে কোথায় গা-ঢাকা দেওয়ার ছক ছিল তার। সে জন্য দরকার ছিল টাকার। কারণ, কাছে যা ছিল তা ইতিমধ্যেই শেষ। সেই টাকা নিয়ে পালানোর আগেই পুলিশের জালে পড়ল দুই পড়ুয়াকে অপহরণ ও খুন কাণ্ডের (Baguiati student murder case) ‘মাস্টার মাইন্ড’ সত্যেন্দ্র।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিচিতকে মোবাইল ওয়ালেটে টাকা পাঠাতে বলে মূল অভিযুক্ত। সেই টাকা হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এক বুকিং এজেন্টকে পাঠাতে বলে সত্যেন্দ্র। সেই টাকা নিয়েই ট্রেন ধরে ভিন রাজ্যে পালানোর ছক ছিল তার। হাওড়ার টিকিট কাউন্টার চত্বর থেকে শুক্রবার তাকে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর পুলিশ।
বাগুইআটির দুই ছাত্র অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে খুনের ঘটনায় সত্যেন্দ্রকে খুঁজছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার থেকে এই মামলায় তদন্ত শুরু করে সিআইডিও। কিন্তু তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছিল, সত্যেন্দ্র বার বার তাঁর সিম কার্ড বদলানোয় তার লোকেশন ট্রেস করা যাচ্ছিল না।
সূত্রের খবর এর আগেও একাধিকবার হাওড়া স্টেশনে গিয়েছিল সত্যেন্দ্র। হাওড়া, মেমারি, ডানকুনি সহ বিভিন্ন জায়গায় সে ঘোরাঘুরি করেছে সেটা তার মোবাইলের সূত্র ধরে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা।ঘন ঘন সিম বদলানোয় তার নাগাল পেতে অসুবিধে হচ্ছিল পুলিশের। তবে টাকা ফুরিয়ে আসতেই সত্যেন্দ্রর প্ল্যান বানচাল হয়ে যায়। ঘটনার পর গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেরাচ্ছিল মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। মোবাইলও মাঝে মধ্যে ব্যবহার করছিল। মাঝে মধ্যে ফোন খুলে অ্যাপে মেসেজ করত। সেভাবে লোকেশন মিলছিলও।
এদিন হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বেসরকারি টিকিট বুকিং এজেন্টের কাছে টাকা পাঠানো হবে জানতে পেরে বিধাননগর পুলিশ একাধিক টিম নজরদারিতে পাঠায় হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়।বৃহস্পতিবার রাতেই পাঁচটা টিমে ভাগ হয়ে হাওড়া স্টেশনে জাল বিছিয়ে ফেলেন তদন্তকারীরা। এদিনে সেই সত্যেন্দ্র পরিচতর থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁরা আগেই জোগাড় করে রেখেছিলেন। হাওড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে টিকিট কাটতে এসেই ধরা পড়ে যায় সত্যেন্দ্র।