সন্দেশখালির দুর্ঘটনা, মিল অনুব্রতর দেহরক্ষীর দুর্ঘটনার সঙ্গে

উত্তর ২৪ পরগনা : সন্দেশখালি কাণ্ডে জেলবন্দি শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে চলা মামলার অন্যতম সাক্ষী তিনি। বুধবার সকালে আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে আচমকা মারাত্মক গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হলেন ভোলানাথ ঘোষ। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ভোলার ছোট ছেলে ও গাড়ির ড্রাইভার। গুরুতর জখম হন ভোলা নিজে।

ঘটনাটি সামনে আসতেই বহু মানুষেরই মনে ফিরে এসেছে ২০২২ সালের এপ্রিলের সেই দুর্ঘটনার ছবি। সে সময় রাতে বীরভূমের ইলামবাজারে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের গাড়িকে ধাক্কা দেয় একটি ডাম্পার। সেই দুর্ঘটনায় মারা যান তাঁর স্ত্রী ও ছোট মেয়ে। সায়গলও গুরুতর জখম হন।

ভোলাবাবুর বড় ছেলের অভিযোগ আরও ভয়াবহ, “দুর্ঘটনা হলে একবার ধাক্কা লাগে।

কিন্তু বুধবার এখানে লরি তিন-তিনবার ধাক্কা মেরেছে। ইচ্ছে করেই গাড়িটা পুকুরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। বাবাকেই মারতে চেয়েছিল। জেল থেকেই সব করেছে শাহজাহান।”

কাকতালীয়ভাবে যিনি প্রতিদিন গাড়ির সামনের আসনে বসতেন, সেই ভোলা এ দিন পিছনের আসনে বসেছিলেন। সামনে বসেছিল তাঁর ছেলে। আর তাতেই বেঁচে যান ভোলা। না হলে তিনিই হয়তো নিহত হতেন—পরিবারের দাবি, এই রহস্যই ষড়যন্ত্রের অভিযোগকে আরও জোরদার করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × two =