সন্দীপ ঘোষ খুনের অভিযোগে শাস্তির দাবি, বিজেপির বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: বিজেপি নেতা সন্দীপ ঘোষকে খুনের অভিযোগে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার সকালে কাঁকসা থামার মলানদিঘি পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এদিন পুলিশ ক্যাম্পের গেট বন্ধ থাকায় সদর গেটে ধাক্কা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। পরে বিজেপির কর্মীরা ফাঁড়ির আইসির কাছে ডেপুটেশন জমা দেন।
রূপগঞ্জের যুবক তথা বিজেপির বুথ সভাপতি সন্দীপ ঘোষের ছবিকে সামনে রেখে থানা ঘেরাও করে বিজেপি দাবি করে, সন্দীপ ঘোষের খুনিরা আজও অধরা। বহাল তবিয়তে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা¥রা। যাঁদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। আর তাঁরাই এখন হুমকি দিচ্ছেন ভোটের আগে। বিজেপির দাবি, তা¥দের গ্রেপ্তার করে এলাকায় শান্তিরক্ষা করতে হবে এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এই দাবিতে তাঁরা থানার সামনে বসে পরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিজেপি নেতা ভোলানাথ ঘোষ বলেন, ‘আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করছে তৃণমূল খুন হয়ে যাওয়া বুথ সভাপতি সন্দীপ ঘোষের খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতা সন্দীপ ঘোষ খুন হন বলে অভিযোগ। ২৭ রাউন্ড গুলি চালিয়ে তাঁকে তৃণমূল আশ্রিত দুÜৃñতীরা খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে। কাঁকসার সরস্বতী গঞ্জের জঙ্গল থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের রূপগঞ্জের বাসিন্দা সন্দীপ ঘোষ এলাকার বুথ সভাপতি ছিলেন বলে দাবি করে বিজেপি।
কাঁকসার তৃণমুল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ভোট ঘোষণা হওয়ার আগেই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই অবস্থায় অতি দুর্বল সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে বুথে বুথে বুথকর্মী বসানোর শক্তি নেই, তাই ভোটের আগে মিডিয়াকে সামনে রেখে এসব নাটক করছে বিজেপি। এসব করে লাভ হবে না। এসব সিপিএম আর বিজেপি গটআপ করে করছে, যাতে বাংলাকে অশান্ত দেখানো যায় মিডিয়ায়। বিজেপি-সিপিএম আর কংগ্রেস এখন এক সুরেই গান গাইছে কিন্তু লাভ নেই, কেউই আর এদের সঙ্গে নেই। মানুষ আছে তৃণমূলের সঙ্গে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =