ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা ছিল না মহম্মদ সামির। সরকারি ভাবে ছিটকে গেলেন। সদ্য অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। শুধু আইপিএলই নয়, আশঙ্কা রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পাওয়া যাবে না সামিকে। ২০২২ সালে আইপিএলে অভিষেক মরসুমেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। গত মরসুমে রানার্স হয়েছিল। এর অন্যতম বড় কারণ মহম্মদ সামি। দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন অভিজ্ঞ এই পেসার। বিশেষ করে বলতে হয় পাওয়ার প্লে-র কথা।
ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সময়ই চোট পান মহম্মদ সামি। তারপর থেকেই তাঁকে নিয়ে উৎকন্ঠা বাড়তে থাকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজেও পাওয়া যায়নি। এ বার আইপিএলেও নেই। তাঁর পরিবর্তন হিসেবে সন্দীপ ওয়ারিয়েরকে সই করালো গুজরাট টাইটান্স। অতীতে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলেছেন সন্দীপ। আইপিএলে মোট পাঁচ ম্যাচ খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে সন্দীপের। তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকায় সই করালো গুজরাট টাইটান্স।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেও এক বিদেশি পেসার ছিটকে গেলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। সেখানেই চোট শ্রীলঙ্কার বাঁ হাতি পেসার দিলশান মধুশঙ্কা। সরকারি ভাবে আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন তিনি। পরিবর্ত হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব ১৯ এক বাঁ হাতি পেসারকে সই করালো মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এ বারের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছেন কোয়েনা মাপাখা। তাঁকেই সই করাল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে পরপর তিন ম্যাচে পাঁচ উইকেট করে নিয়েছিলেন মাত্র ১৭ বছরের পেসার কোয়েনা মাপাখা। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টে ২১টি উইকেট নিয়েছিলেন। ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই উঠতি প্রতিভাকে নিয়ে নিল মুম্বই। তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকায় সই করানো হল।