হাওড়া স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফের বড় সাফল্যর কথা জানালো পূর্ব রেল। আরপিএফ সহ রেলের অপরাধ ও মাদক বিরোধী শাখার যৌথ অভিযানে সাতজন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী বাসিন্দাকে গ্রেফতার করলো রেল পুলিশ।
এদের সঙ্গে নতুন কমপ্লেক্স থেকে শেখ জাকির নামের এক দালালকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় রেল সুরক্ষা বাহিনীর আধিকারিকরা।
আরপিএফ সূত্রের খবর সম্প্রতি বিশ্বস্ত সূত্রে ছিল অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দালাল হিসাবে কাজ করা শেখ জাকির একাধিক অবৈধ উপায়ে ভারতে ঢোকানোর জন্য বাংলাদেশী বাসিন্দাদের হাওড়া স্টেশনে নিয়ে আসছে। এই খবর পেয়ে আরপিএফ ও অন্যান্য অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকদের যৌথ দল সতর্কতার সঙ্গে নজরদারি শুরু করে হাওড়া স্টেশনে।
এই যৌথ দলের তৎপরতায় এই সাতজন অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী বাসিন্দা সহ তাদের এই কাজে সাহায্যকারী দালাল শেখ জাকিরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আধিকারিকরা। গ্রেফতার হওয়া এই দলে ৫ জন পুরুষ, ৩ জন মহিলা রয়েছেন। সূত্র মারফৎ খবর এদের নাম তানহা তানিয়া, মিনারা বেগম, ছলমা বেগম, হাকিম শেখ, কবির হুসেন, উসমান শেখ, মহম্মদ কৌশার এখন নামের বাংলাদেশী রয়েছে।
এই দলটি ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘোগাডাঙ্গা, বসিরহাট দিয়ে এই শেখ জাকিরের সহায়তায় ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। এদেরকে ব্যাঙ্গালোর শহরে নির্মাণকার্যে শ্রমিক হিসেবে যুক্ত করার জন্য আনা হয়েছিল। এরা কেউ ভারতে আসার কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারে নি। এদের থেকে বাংলাদেশের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। যা রেল সুরক্ষা আধিকারিকরা বাজেয়াপ্ত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় এদের সকলের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের বৈদেশিক আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।