স্কাইয়ের ক্যাপ্টেন্স নক, ঈশান কিষাণের অনবদ্য ব্যাটিং। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় দিয়েই শুরু করল ভারত। কিন্তু রিঙ্কু সিং না হলে আজ সব উদ্যমই জলে যেতে বসেছিল প্রায়৷ ১ বল বাকি, ১ রান বাকি জিততে৷ অসাধারণ ছক্কা মেরে ম্যাচ পুরে দিলেন ভারতের পকেটে৷ পরে দেখেন বলটা ছিল নো বল৷ সুতরাং এমনিতেই জয় আসত ভারতের৷ কিন্তু না হলেও যা করবার রিঙ্কু করে দিয়েছিল৷ নো বলের দরুণ ছয় রান যোগ হল না রিঙ্কুর স্কোরের সঙ্গে৷ ফিনিশারের ভূমিকায় সীমিত সুযোগ পেলেন রিঙ্কু সিং। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাঁকে নেক্সট বিগ থিং বলা হচ্ছে। আইপিএলের মঞ্চে নজর কেড়েছেন রিঙ্কু। শেষ দিকে ক্যাপ্টেন সুর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতেন। জয়ের খুব কাছে ৮০ রানে আউট হন অধিনায়ক সূর্য।
বিশ্বকাপের রেশ এখনও কাটেনি। তবে সূর্য, ঈশান, প্রসিধ কৃষ্ণ ছাড়া টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের কেউই বিশ্বকাপে ছিলেন না। বাকিদের কাছে নতুন সিরিজ। নতুন সুযোগও। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া বনাম রানার্স ভারত। রুদ্ধশ্বাস একটা সিরিজের প্রত্যাশা। শুরুটাও হল দুর্দান্ত। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচ সূর্যকুমার যাদবের। প্রথম টসও জিতলেন। পিচ রিপোর্ট বলছিল, ব্যাটিং প্যারাডাইস। রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সূর্যকুমার যাদব। ভারতের বোলিং-ফিল্ডিং অবশ্য স্বস্তি দিল না। বেশিরভাগই দীর্ঘ সময় পর একসঙ্গে খেলার কারণেও বোঝাপড়ার এই ভুল হতে পারে।
রান তাড়ায় শুরুতেই গলদ ভারতের। যশস্বীর ভুলে রান আউট ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। কোনও ডেলিভারি ফেস না করেই মাঠ ছাড়তে হয়। যশস্বীর ইনিংসও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঝড় উঠলেও দ্রুতই থামল। ঈশান কিষাণ বিশ্বকাপে প্রথম দু-ম্যাচে খেলেছিলেন। শুভমন গিল ফিরতেই জায়গা ছাড়তে হয়। এ দিন তিনে নামলেন ঈশান। হাফসেঞ্চুরির অনবদ্য ইনিংস। শুরুটা করলেন মন্থর, ক্রমশ গিয়ার বদল করেন।
বিশ্বকাপে ব্যর্থ। ফাইনালে ভরসা দিতে পারেননি। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচ। সব দিক থেকে যেন মেগা-ম্যাচ সূর্যকুমার যাদবের। ২০৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ৪২ বলে ৮০ রানের ইনিংস। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি। লোকেশ রাহুলের পর টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে এই রেকর্ড গড়লেন সূর্য। তিনি আউট হলেও দলের জয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। যদিও সহজ জয় বলা যায় না। শেষ দিকে কিছুটা স্নায়ুর চাপে ভুগল ভারত। রিঙ্কুকে দেখে তা মনে হয়নি।
শেষ ওভারের তৃতীয় বলে আউট অক্ষর। ৩ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ২ রান। রিঙ্কুকে স্ট্রাইক দিতে রান আউট রবি বিষ্ণোই। রিঙ্কু ২ রান দিতে গেলেও অর্শদীপের উইকেট হারাতে হয়। রিঙ্কু স্ট্রাইকে থাকেন। স্কোর লেভেল। শেষ বলে ১ রান, স্ট্রাইকে রিঙ্কু। শেষ বলে বিশাল ৬ মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন রিঙ্কু। যদিও নো বল হওয়ায় তাতেই জিতে যায় ভারত। স্কোরকার্ডে ৬ যোগ হবে না!