যুদ্ধের জন্য ফুটবলার ও কোচেদের নতুন নির্দেশিকা ফিফার

জুরিখ: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বড় প্রভাব পরেছে খেলার মাঠেও। ইতিমধ্যেই রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা। রাশিয়ার কোনও ক্লাব ইউরোপের কোন ক্লাব টুর্নামেন্টেও খেলতে পারবে না। জানিয়ে দিয়েছে উয়েফা। এমন অবস্থায় ঘরোয়া ফুটবলই ভরসা রাশিয়ার ফুটবলারদের। অন্যদিকে গোটা ক্রীড়া বিশ্ব মহল ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেনের ফুটবলাররাও কার্যত মাঠের বাইরে। কিন্তু ফিফার চিন্তা আরও একটা জায়গায়। দুই দেশের ক্লাব ফুটবলেই আছেন অনেক বিদেশি ফুটবলার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ। তাঁদের কি হবে? সেই ভাবনা থেকেই নতুন নির্দেশিকা জারি করল ফিফা। সবটাই যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে। একই সঙ্গে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচের দিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা।

নতুন যে নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা তাতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে যে বিদেশি ফুটবলার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফরা আছেন, তাঁরা চাইলে চলতি বছরের চুক্তি বাতিল করে নিজেদেরে দেশে ফিরতে পারেন। এই চুক্তি বাতিলের জন্য কোনও শাস্তির মুখে পরতে হবে না তাঁদের। ফুটবল মরসুম শেষ হচ্ছে ৩০ জুন। বাকি সময়টা কি তাহলে মাঠের বাইরে থাকতে হবে কোচ, ফুটবলারদের? না রাশিয়া ও ইউক্রেন ফেরত কোচ ও ফুটবলারদের যাতে মাঠের বাইরে থাকতে না হয় তার জন্যই নতুন নিয়ম জানিয়ে দিল ফিফা। যে ফুটবলার ও কোচেরা রাশিয়া ও ইউক্রেনে চুক্তি বাতিল করে নিজেদের দেশে ফিরবেন তাঁরা চাইলে অন্য কোনও ক্লাবের সঙ্গে বাকি মরসুমের জন্য চুক্তি করতে পারেন। পাশাপাশি চলতি মরসুম শেষ হলে ফ্রি ফুটবলার বা কোচ হিসেবে অন্য যে কোনও ক্লাবে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা।

যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ফিফার এমন সিদ্ধান্তে খুশি ফুটবল মহল। তবে বর্তমান পরিস্থিতির দিতে তাকিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন, এই অবস্থায় ইউক্রেন থেকে বিদেশি ফুটবলাররা বেরিয়ে আসবেন কি ভাবে? যুদ্ধ পরিস্থিতি চূড়ান্ত মোড় নেওয়ার আগেই অনেকে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু এখনও যারা আটকে আছেন তাদের কি হবে?

ক্লাব ফুটবল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি, ফিফা ইউক্রেন জাতীয় দলের বিশ্বকাপ অভিযান নিয়েও নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের প্লে-অফে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল স্কটল্যান্ডের। মার্চের ২৪ তারিখ ছিল সেই ম্যাচ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ম্যাচ জুন পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + fourteen =