ইন্ডিয়ান সুপার লিগে গত বারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। এ মরসুমেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। মোহনবাগানের একটা আক্ষেপ অবশ্য কাটেনি। টুর্নামেন্ট যাই হোক, মুম্বই সিটি এফসিকে কখনও হারাতে পারেনি মোহনবাগান। এ বারও খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হল। মুম্বই সিটি এফসির ঘরের মাঠে সমতা ফেরালেও শেষ রক্ষা হল না মোহনবাগানের। ১-২ গোলে হার। ম্যাচ শেষে আরও তিনটি রেড কার্ড। সব মিলিয়ে সাতটি করে রেড ও হলুদ কার্ড। আইএসএলের ইতিহাসে এটিই সর্বাধিক। একটি ড্র থেকে গত ম্যাচে জয়ের রাস্তায় ফিরলেও এ বারের আইএসএলে প্রথম হার মোহনবাগানের।
মুম্বইয়ের ফুটবল এরিনা যেন কুস্তির আখরায় পরিণত হল। ম্যাচে যেমন হল, শেষ বাঁশির পরও। ম্যাচের ফল মোহনবাগানের বিপক্ষে গেল। ম্যাচের ১৩ মিনিটে আকাশ মিশ্রর রেড কার্ডে দশ জনে পরিণত হয় মুম্বই সিটি এফসি। ২৫ মিনিটে বিশ্বকাপার জেসন কামিংসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। যদিও লিড ধরে রাখা গেল না। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে গ্রেগ স্টুয়ার্টের গোলে সমতা ফেরায় মুম্বই সিটি এফসি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মোহনবাগানের আশিস রাই ও লিস্টন কোলাসোর রেড কার্ড। যা প্রবল চাপে ফেলে মোহনবাগান। মুম্বইয়ের মাঠে গত ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলও সমস্যায় পড়েছিল। ফুটবল বডি কনট্যাক্ট গেম। এ বিষয়ে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তবে ঘরের মাঠে মুম্বই সিটি এফসির মারামারি ফুটবল প্রতিপক্ষর মেজাজে হারানোর জন্য যথেষ্ঠ। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে বিপিন সিংয়ের গোলে লিড নেয় মুম্বই সিটি এফসি। এই স্কোর লাইনেই শেষ হয় ম্যাচ। এই অবধি চারটি রেড কার্ড ছিল।
শেষ বাঁশি বাজতেই মোহনবাগান ফুটবলারদের দিকে তেড়ে যান মুম্বই এফসির ডিফেন্ডার রাহুল ভেকে। মোহনবাগানের ভিক্টর ইউস্তের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। যোগ হয় বাকিরাও। ম্যাচে চারটি এবং ম্যাচ শেষে আরও তিনটি রেড কার্ড। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে লজ্জার ইতিহাস তৈরি হল মুম্বইয়ের ফুটবল এরিনায়। সাতটি করে লাল ও হলুদ কার্ড! স্কোর লাইনের চেয়েও আলোচনায় এই রেকর্ড।