৩২ সেকেন্ডে রেকর্ড গোল! এগিয়ে থেকেও হার ইস্টবেঙ্গলের

এগিয়ে থেকে ড্র কিংবা হার। এই ছবিটা দেখা গিয়েছে বেশ কয়েক বার। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামেও সেটাই হল। রেকর্ড গোলে ম্যাচ শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হল। কার্ড সমস্যায় টেকনিক্যাল এরিয়ায় ছিলেন না হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। একই সমস্যায় ডিফেন্সে পাওয়া যায়নি হিজাজি মাহেরকে। শুরুটা দুর্দান্ত হওয়ায় কোনওটারই অভাব বোঝা যায়নি। তবে রোগ যে ফিরবে, সেটাও বোঝা যায়নি। ৩২ সেকেন্ডে লিড নিয়ে ১-২ ব্যবধানে হার ইস্টবেঙ্গলের।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে রেকর্ড গড়লেন ইস্টবেঙ্গলের তরুণ ফুটবলার বিষ্ণু। বেশির ভাগ ম্যাচেই পরিবর্ত হিসেবে নামতেন। এই নিয়ে চতুর্থ ম্যাচে শুরু থেকে খেলানো হয় বিষ্ণুকে। মাঠে নেমেই গোল। আইএসএলের এ মরসুমে বিষ্ণুর গোলই দ্রুততম। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে পঞ্চম দ্রুততম। আইএসএলে কেরিয়ারের প্রথম গোল বিষ্ণুর। ম্যাচের শুরুটা জুড়ে শুধুই ইস্টবেঙ্গলের তরুণ ফুটবলার বিষ্ণু। কিন্তু ম্যাচটা স্মরণীয় হয়ে থাকলো না।

প্রথমার্ধেই সমতা ফেরায় ওডিশা এফসি। যদিও এই গোল বিতর্কিত। রেফারিং নিয়ে কম অভিযোগ ওঠেনি। এই গোল নিয়েও ইস্টবেঙ্গল শিবিরে অস্বস্তি হওয়াই স্বাভাবিক। মরিসিওকে ট্যাকল করেন রাকিপ। সেটি বক্সের লাইনে। মরিসিও পড়েছেন বক্সের মধ্যে। পেনাল্টি দেন রেফারি। এতটা কড়া সিদ্ধান্ত না নিলেও পারতেন। ৪০ মিনিটে মরিসিওর পেনাল্টি গোলে সমতা ফেরায় ওডিশা এফসি। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখছিবেম। পেনাল্টির সিদ্ধান্তে যে অবাক, শরীরীভাষাতেই ধরা পড়ে।

ম্যাচের ঘণ্টা পেরোতেই রং বদল। আহমেদ জাহুর অনবদ্য কর্নার। বক্সের মধ্যে প্রিন্সটন রেবেলো দিক পরিবর্তন করে গোলে পাঠান। ১-০ এগিয়ে থাকা থেকে ১-২ পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। শেষ অবধি এই স্কোর লাইনই থাকে। এগিয়ে থেকেও হতাশা। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে রেফারিকে অন্তত দায়ী করা যায় না। পরিস্থিতি নিয়ে সচেতনতার অভাবেই গোল হজম ইস্টবেঙ্গলের। তার ওপর এই ম্যাচে কার্ড দেখলেন অজয় ছেত্রী। যাঁর ফলে অজয়কে পরের ম্যাচে পাবে না ইস্টবেঙ্গল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =