রকমারি পকোড়ায় উপভোগ করুন ‘অশনি’-র বৃষ্টি

সকাল বেলাতেই আকাশে মেঘ ছিল ঘন কৃ্ষ্ণবর্ণ। ঝমঝমিয়ে ঝরেছে বারিধারা। কখনও ঝিরঝিরে বৃষ্টি, কখনও থমথমে আকাশ। এমন পরিবেশে, সন্ধেয় গরম চা আর তেলেভাজা, পকোড়া, মুড়িমাখা না খেলে চলে।

চপ, তেলেভাজা, বেগুনি, আলুবড়া তো অনেক হল, এবার বরং একটু আলাদা কিছু বানান।

মাশরুম পকোড়া-মাশরুমের গুণ আলাদ করে বলতে হবে না। প্রোটিন-সহ একাধিক পুষ্টিগুণ ভরপুর। বাচ্চারাও ভালবাসে। তাই বানিয়ে ফেলুন মাশরুম পকোড়া। অয়েস্টার মাশরুমে এটা সবচেয়ে ভাল হয়, বাটন মাশরুমেও করতে পারেন। মাশরুম পরিষ্কার করে নিন। অয়েস্টার মাশরুম হলে গরম জলে একটু ভাপিয়ে নিন।পাপড়ির মতো অংশগুলো ছাড়িয়ে নিন।

এবার একটি পাত্রে ডিম, আদা, রসুন, পেঁয়াজ বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন ও গোলমরিচ দিয়ে মাশরুম ম্যারিনেট করে রাখুন। আধ ঘণ্টা পর তার মধ্যে বেসন, চালগুঁড়ো, নুন ও সামান্য খাবার সোডা ভাল করে মিশিয়ে মাশরুম গুলো ভেজে নিন। বিশ্বাস করুন চিকেন পকোড়ার চেয়ে কোনও অংশে কম স্বাদ হবে না। এরসঙ্গে শশ রাখুন সঙ্গতে। চাইলে মেয়োনিজ ডিপও ব্যবহার করতে পারেন।

লাউ-এর পকোড়া- অনেকেই আলু খান না। সুগারের রোগী এখন ঘরে ঘরে। তাই লাউ দিয়ে বানান দারুণ একটা পকোড়া। পাতলা ও গোল করে লাউ কেটে নিন। একটি পাত্রে বেসন, চালের গুঁড়ো, নুন, রসুন বাটা, হলুদ, ধনে ও জিরে গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ব্যাটার বানিয়ে লাউগুলো তাতে ডুবিয়ে ভেজে নিন।

ক্যাপসিকাম পকোড়া-ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, লঙ্কা, ধনেপাতা, রসুন কুঁচিয়ে নিন। স্বাদমতো নুন, জিরে গুঁড়ো, গরম মশলা দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার দিন বেসন ও সামান্য বেকিং সোডা। ভাল করে মাখিয়ে পকোড়ার মতো ভেজে নিন। ক্যাপসিকাম পকোড়ার বিশেষ ব্যাপারটাই হল এর দুর্দান্ত গন্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − seven =