পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্রথম সুযোগেই ফাইনালে আরসিবি

চ্যাম্পিয়ন লাক কাজ করবে এ বার! এর জন্য বাকি আরও একটা ম্যাচ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য রান তাড়া আর কোয়ালিফায়ারের পারফরম্যান্স। টি-টোয়েন্টি নয়, প্রথম কোয়ালিফায়ার হয়ে দাঁড়াল সর্বসাকুল্যে ২৫ ওভারের ম্যাচ। সেই ২০১৬ সালের পর আইপিএলের ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সব মিলিয়ে চতুর্থবার ফাইনাল। পঞ্জাবের মুল্লানপুর স্টেডিয়ামে একপেশে জয়। মাত্র ১০২ রান তাড়ায় ৬০ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

আরসিবির ব্যাটিং নিয়ে চারিদিক থেকেই প্রশংসার বন্যা। লিগ পর্বের প্রতি ম্যাচেই। শুধু এ বার নয়, বছরের পর বছর আরসিবি ব্যাটিংয়ের প্রশংসা হয়। এ বার যেন বোলিং আক্রমণ বার্তা দিল, তাদের দিকেও দেখার জন্য। টস জিতে বিনা দ্বিধায় রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি ক্যাপ্টেন রজত পাতিদার। তবে এমন একটা একপেশে ম্যাচ বোধ হয় কেউই আশা করেননি। আরসিবি বোলারদের দাপটে সেটাই হল। মাত্র ১০১ রানেই অলআউট পঞ্জাব কিংস! যশ দয়াল, জশ হ্যাজলউডের সঙ্গে লেগ স্পিনার সূয়াশ শর্মা। অবিশ্বাস্য বোলিং পারফরম্যান্স আরসিবির।

রান তাড়ায় একটাই আশঙ্কা ছিল, ৪৫ দিন আগের একটি ম্যাচ। এই মাঠেই কেকেআরের বিরুদ্ধে মাত্র ১১১ রানের পুঁজি নিয়ে জিতেছিল পঞ্জাব কিংস। কিন্তু সেই ম্যাচের অন্যতম নায়ক যুজবেন্দ্র চাহালের চোট। গত দুই লিগ ম্যাচের মতো প্রথম কোয়ালিফায়ারেও চাহালকে পাওয়া যায়নি। এ মরসুমেও ৬০০-র উপর রান করা বিরাট কোহলিকে দ্রুত ফিরিয়ে ম্যাচে এনার্জি ফেরানোর চেষ্টা করেছিল পঞ্জাব কিংস। কিন্তু ফিল সল্ট-মায়াঙ্ক জুটির হাফসেঞ্চুরি। মায়াঙ্ক জয়ের দোরগোড়ায় আউট হন। ফিল সল্টের সঙ্গে বাকি কাজ কমপ্লিট করেন ক্যাপ্টেন রজত পাতিদার। ফিল সল্ট বিধ্বংসী একটা ইনিংস খেলেন। ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন রজত পাতিদার। আরসিবি শিবির যেন বলছে-এ সালা কাপ নামদে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + 6 =