নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির নেতৃত্বরা সরাসরি দায়ী করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে এবং বিজেপির নেতৃত্বরা অভিযোগ করে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে হেনস্থা করা হয় পুলিশের দ্বারা। তারই প্রতিবাদে এবং সন্দেশখালি সহ সমগ্র পশ্চিমবাংলায় মা-বোনদের সম্মান রক্ষার্থে, জঙ্গলরাজ ও দুর্নীতিরাজ খতম করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় বিজেপির পক্ষ থেকে এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
সেই মতো বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির পক্ষ থেকেও বর্ধমান টাউন হল থেকে মিছিল করে এসে এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি করা হয়। এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা ও দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই। টাউন হল থেকে মিছিল করে এসপি অফিস যাওয়ার সময় কার্জন গেট চত্বরে অবস্থিত নেতাজি মূর্তির পাদদেশে বিজেপির মিছিল আটকায় পুলিশ।
দু’টি ব্যারিকেট ভেঙে বিজেপির মিছিল এগোতে থাকে এসপি অফিসের দিকে এবং তারপরই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় এবং মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে জল কামান চালানো হয়। খানিকক্ষণের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা কার্জন গেট চত্বর।
বিজেপির মহিলা নেতৃত্বরা অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ আমাদের গায়ে হাত দিয়েছে, আমাদের এই শান্তিপূর্ণ মিছিলে ইচ্ছাকৃত ভাবে পুলিশ আমাদেরকে হেনস্থা করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’ এদিনের মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুধীর রঞ্জন সাউ, বিজেপি নেতা খোকন সেন, যুব মোর্চার নেতা পিন্টু সাম সহ অসংখ্য বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।