কলকাতা: রামপুরহাটের বগটুইয়ে ৮টি নিরীহ প্রাণের বলির দায় কার! তা নিয়ে তপ্ত পরিস্থিতি। মঙ্গলবার সকালে এই গ্রামের কয়েকটি পুড়ে যাওয়া বাড়ির ভেতর থেকে মহিলা, শিশু-সহ বেশ কয়েক জনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। দমকল বলছে দেহ মিলেছে ১০টি, ডিজি বলছেন ৮টি। ফলে মৃতের সংখ্যা নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। সোমবার তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু খুনের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি, তারপর এই ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে আঙুল উঠেছে।
বঙ্গ রাজনীতির আঁচ পৌঁছেছে দিল্লিতেও। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বগটুইয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘আমরা সরকারে। আমরা কি চাই কোথাও কেউ বোমা মারুক! বদনামের চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ ছাড়া পাবে না। ঘটনার পর আমি ৫০ বার ফোন করেছি। ওসি ও এসডিপিও-কে সরিয়ে দিয়েছি। সিট গঠন করেছি। ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়েছিলাম। আজই যেতাম। কিন্তু বিরোধীরা গেছেন। আগামিকাল আমি যাচ্ছি।’ রামপুরহাট কাণ্ডের জেরে সরব রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল। এ নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করল কংগ্রেস। সব মিলিয়ে মোট ৫টি মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। রামপুরহাটের ঘটনাকে ‘শকিং’ বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। দুপুরেই এই সংক্রান্ত মামলা শুনবে আদালত। রামপুরহাটের বগটুইয়ে গ্রামবাসীর ঝলসে মৃত্যুর ঘটনাকে ‘খুবই বেদনাদায়ক’ বলে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।