কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেওয়া রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে এবার সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High court)। বীরভূমের বগটুইতে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজ্য পুলিশের ওপর আর ভরসা করা যাবে না, এমনটাই মনে করছেন বিচারপতিরা।
রামপুরহাটে অশান্তির সূত্রপাত তৃণমূল উপ প্রধানকে বোমা মেরে খুন করা নিয়ে। এই ঘটনার পরই সোমবার রাতে একাধিক বাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ। পুড়ে মৃত্যু হয় নারী-শিশু-সহ আট জনের।
স্বতস্ফূর্তভাবে এই মামলা গ্রহণ করেছিল আদালত। মাত্র দুদিনের শুনানির পরই সিবিআই তদন্তের পক্ষে রায় দিল ডিভিশন বেঞ্চ। এ দিন আদালতের তরফে বলা হয়েছে, বগটুই -এর হত্যাকাণ্ড যে ভাবে সমাজে প্রভাব ফেলেছে, তাতে রাজ্যের তদন্তকারীদের ওপর আর ভরসা করা যাবে না।
আদালত জানিয়েছে, স্বচ্ছ তদন্ত করে সত্য সামনে আনা জরুরি। সে কারণেই মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চায় আদালত। এই মামলায় রাজ্যের গঠিত সিট কোনও তদন্ত করতে পারবে না। তবে সিবিআইকে সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যকে, এমনটাই জানিয়েছে আদালত।
আদালতের এই রায়ে খুশি বগটুইয়ের বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ। স্বজন হারানো এক ব্যক্তি বলেন, ‘সঠিক বিচার হবে। আমারা সেটাই চাই।’ আর এক মহিলা বলেন, ‘খুব খুশি হয়েছি, ভাদুর মস্তানরা যেন ঢুকতে না পারে। ঢুকলেই মেরে দেবে আমাদের।’
এই রায়দানকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। যে ভাবে টাকা ও চাকরি দিয়ে মৃতদেহগুলিকে কিনে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, তাতে এই নির্দেশ রাজ্য সরকারের গালে চপেটাঘাত।’ অন্য দিকে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী কথায়, ‘মমতার সিট আর অমিত শাহের সিবিআই-এর মধ্যে কোনও তফাৎ নেই।’ তিনি আদালতের নজরদারিতে তদন্তের কথা বলেছেন।